ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সবার অধিকার: সাইফ আলি খান

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সবার অধিকার: সাইফ আলি খান

বলিউড তারকাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র ভারতের আলোচিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা বলেছেন। এবার এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় যোগ হলেন সাইফ আলি খান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ নিয়ে তার গভীর চিন্তার কথা জানালেন।  

ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন ও এর প্রতিবাদ বিষয়ে সাইফ জানান, একজন নাগরিক হিসেবে তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অবহিত আছেন। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানো সকলেরই অধিকার বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি।

 

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে ৪৯ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, অনেক কিছুই ঘটে যা আমাদের উদ্বিগ্ন করে, আমরা পর্যবেক্ষণ করি ও ভাবি কখন এবং কীভাবে এর সমাপ্তি ঘটবে।  

ইতোপূর্বে বলিউড তারকা ফারহান আখতার, পরিনীতি চোপড়া, রিচা চাঢা, জিশান আয়ুব, অনুরাগ কাশ্যপ, শাবানা আজমি, জাবেদ আখতার, ঋত্বিক রোশন, আয়ুষ্মান খুরানা ও স্বরা ভাস্কর আলোচিত এই নাগরিকত্ব আইন ও বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।  

তবে বলিউডে প্রথম সারির তারকাদের নীরবতা নিয়ে যখন অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন, সে মুহূর্তে ‘সেক্রেড গেমস’ তারকা বলেন, সবারই অধিকার আছে মত প্রকাশ করার বা না করার।  

ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাইফ আলি খান বলেন, ‘সকলেরই অধিকার আছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার এবং না করারও অধিকার আছে। ’

সাইফ জানান, তিনি পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন। সবকিছু ঠিকঠাক জেনেবুঝে তারপর তিনি মনস্থ করবেন।  

তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক কিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি তা ভালোভাবে জেনে ঠিক তার সঙ্গেই আমার প্রতিবাদ সম্পর্কিত হওয়া উচিত। এরকম সম্ভাবনা থাকতে পারে যে, আমি হয়ত ভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ করে ফেললাম। তাই আমি এখনও নিশ্চিত নই। ’

‘যতক্ষণ না আমি নিশ্চিত হচ্ছি, আমি ঠিক কিসের প্রতিবাদ করছি এবং এই প্রতিবাদ যথাযথভাবেই বিবেচিত হবে কিনা, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাকে আরও ভাবতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।  

এই অভিনেতা আরও বলেন, ভারত কেমন রাষ্ট্র হবে তা ভারতকেই সংজ্ঞায়িত করতে হবে। তবে এই সংজ্ঞা বিচার বিভাগ বা সরকার অথবা চূড়ান্তভাবে জনগণকেই দিতে হবে। আমরা কেমন পরিবেশে বাস করছি তা বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খুব কমই জানতে পারি।

সম্প্রতি ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাশ করার পর দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার হওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান করা হয়েছে।  

বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই আইন ভারতের ‘সংবিধানপরিপন্থি ও বিভেদমূলক’ কারণ এতে মুসলিমদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।