ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

ওস্তাদকে জড়িয়ে ধরে সাইমনের চোখে আনন্দ অশ্রু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
ওস্তাদকে জড়িয়ে ধরে সাইমনের চোখে আনন্দ অশ্রু রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে চলচ্চিত্র শিল্পিরা

২০১২ সালে ‘জ্বী হুজুর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকের। ক্যারিয়ারের এক দশক পার করার আগেই প্রথমবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই তরুণ। গত ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। 

প্রখ্যাত পরিচালক জাকির হোসেন রাজুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে সাইমনের পথচলা শুরু। অভিনয়ে ‘জীবন সংসার’খ্যাত এই পরিচালকের কাছে হাতেখড়ি হওয়ায় তাকে ওস্তাদ বলে সম্বোধন করেন সাইমন।

আর তাকে জড়িয়ে ধরেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনন্দ অশ্রু জড়ালেন ‘পোড়ামন’ খ্যাত এই অভিনেতা।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে ‘জান্নাত’ সিনেমার পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

২০১৮ সালে সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক (মোস্তাফিজুর রহমান মানিক), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (সাইমন সাদিক), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্র (আলী রাজ) এবং শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক (ইমন সাহা) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে। ইমন সাহা ছাড়া পুরস্কার প্রাপ্ত সবাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তাদের শুভকামনা জানাতে চিত্রপরিচালক জাকির হোসেন রাজু, মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, অপূর্ব-রানা, বুলবুল বিশ্বাস ও চিত্রনায়িকা শাবনূর হাজির হন।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায় বক্তব্য দেওয়ার জন্য জাকির হোসেন রাজুকে মঞ্চে ডাকেন সাইমন। তখন ওস্তাদকে পাশে পেয়ে তিনি আবেগী হয়ে যান। বলেন, ‘আমার ওস্তাদ যদি আমাকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ না দিতেন, তাহলে আমি আমার জীবনের সেরা অর্জনটা পেতাম না। তার প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

জাকির হোসেন রাজু বলেন, সাইমনের সঙ্গে আমার যখন প্রথম দেখা হয়, তখন আমি তাকে সিনেমা নিয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন করি। তখন আমাকে সে খুব অবাক করে। তার সিনেমা সম্পর্কে জ্ঞান দেখে আমি মুগ্ধ হই। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম সে ক্যারিয়ারে খুব ভালো করবে। কারণ সিনেমাটাকে সে অনেক ভালোবাসা। এছাড়াও তিনি সাইমনকে উপহার হিসেবে নতুন একটি সিনেমা নির্মাণেরও ঘোষণা দেন।

এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সিনেমায় অভিনয় করে শাবনূর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এবারই প্রথম মানিক শ্রেষ্ঠ পরিচালক হলেন। তিনি বলেন, আমি আমার পরিবার ও আমার সিনেমার প্রতিটি সদস্যের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা না থাকলে আজকে এত বড় অর্জন সম্ভব ছিল না।

‘জান্নাত’র গল্প লিখে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন সাংবাদিক ও গল্পকার সুদীপ্ত সাঈদ খান। তিনি বলেন, ক্যারিয়ার প্রথম গল্প লিখেই আমি পুরস্কার পেলাম। সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আসলে আমি মানিক ভাইয়ের কাছে ঋণী। তিনি সুযোগ না দিলে এত বড় অর্জন করতে পারতাম না।

অভিনেতা আলীরাজ বলেন, আমি আগেই পুরস্কার পেয়েছি। এবার আবার পেলাম। আসলে এর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

‘জান্নাত’ সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহিকে অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
জেআইএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।