ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনকে হারানোর এক বছর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনকে হারানোর এক বছর

দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন চলে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো শনিবার (১৪ ডিসেম্বর)। ২০১৮ সালের এই দিন ৭৬ বছর বয়সে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আমজাদ হোসেন একাধারে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক। তার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট, জামালপুরে।

দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’র মতো কালজয়ী অনেক সিনেমা নির্মাণ করেছেন।

‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

আমজাদ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে জামালপুরে এক শোক র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। তার নিজ জন্মস্থান জামালপুরের উদীচী, খেলাঘরসহ ৭০টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোক র‌্যালিটি সকাল ১০টায় কামালতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে আমজাদ হোসেন শায়িত পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হবে।  

পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও আশেক মাহমুদ কলেজের প্রিন্সিপালের নেতৃত্বে আয়োজিত এ শোক র‌্যালিতে অংশ নেবেন আমজাদ হোসেনের সন্তানেরাও।  

দিনব্যাপী কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে।

এছাড়াও এদিন আমজাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আমজাদ হোসেন স্মরণ সভা, দিনব্যাপী মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

গত বছর ১৮ নভেম্বর আমজাদ হোসেন ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

এরপর তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার খরচ বাবদ নন্দিত এই নির্মাতার পরিবারের হাতে ২০ লাখ টাকা এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাবদ ২২ লাখ টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্যাংককে নিলেও আর শেষ রক্ষা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।