ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

বিজ্ঞানকে সহজবোধ্য করতেই ‘মিশন মঙ্গল’: অক্ষয় কুমার

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
বিজ্ঞানকে সহজবোধ্য করতেই ‘মিশন মঙ্গল’: অক্ষয় কুমার ছবি: ‘মিশন মঙ্গল’ সিনেমায় অক্ষয় কুমার

শুরুটা দারুণ করেছে অক্ষয় কুমারের ‘মিশন মঙ্গল’। সিনেমাটি প্রথম দিনেই আয় করেছে ২৯ কোটি রুপি। দ্বিতীয় দিনে ৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত অক্ষয়। তিনি জানালেন, বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য করতেই এই সিনেমা বানানো হয়েছে। 

জগন শক্তি পরিচালিত ‘মিশন মঙ্গল’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান, সোনাক্ষী সিনহা, তাপসী পান্নু, নিত্যা মেনন ও কীর্তি কুলহরি - এই পাঁচ অভিনেত্রী। এছাড়াও রয়েছেন শারমন যোশী, এইচজি দত্তাত্রেয়, বিক্রম গোখলে প্রমুখ।

বহু তারকাখচিত এই সিনেমাটি ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্টে মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দু’দিনেই সিনেমাটি আয় করেছে ৪৬ কোটির বেশি।

আরও পড়ুন: মিশন মঙ্গল: প্রথম দিনের আয় ২৯ কোটি রুপি

১৬ আগস্ট (শুক্রবার) রাতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানালেন অক্ষয় কুমার।

অক্ষয় বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, আমি দর্শকদের এতোটা সাড়া প্রত্যাশা করিনি। এটা তো নতুন ঘরানার সিনেমা। এরকম সিনেমা ভারতে আগে নির্মিত হয়নি। ’

বৈজ্ঞানিক বিষয়ভিত্তিক আরও সিনেমা নির্মিত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অক্ষয়। তিনি বলেন, ‘এটা সফল হয়েছে, আমি খুশি। সিনেমা শিল্পে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো।  এবার এরকম আরও সিনেমা বানানো হবে। হলিউড এখন পর্যন্ত ১৪-১৫টি বিজ্ঞাননির্ভর সিনেমা বানিয়েছে। কিন্তু আমাদের এটাই প্রথম। ’

‘মিশন মঙ্গল’র কাণ্ডারীরা

অক্ষয় জানান, আরও অনেকের মতো তিনিও খুব বেশি আশাবাদী ছিলেন না এই সিনেমা নিয়ে। অনেকে বলেছিল, সিনেমাটি বড় জোর ৬০-৭০ কোটি পর্যন্ত যেতে পারে। কারণ ভারতে এই ধরনের সিনেমা এই প্রথম। কেউ বুঝে উঠতে পারেনি দর্শকরা বিজ্ঞানের প্রতি কেমন সাড়া দেবে। অক্ষয় বলেন, ‘বাচ্চারা সিনেমাটি দেখছে, তাদের মা-বাবাকে টেনে আনছে। এরপর যারা কিছুই জানতেন না তারাও বুঝতে পারছেন, মঙ্গল গ্রহে একটি উপগ্রহ পাঠাতে হলে কী পরিমাণ কাজ করতে হয়। ’

আরও পড়ুন: অক্ষয়ের ‘মিশন মঙ্গল’: সাধারণ মানুষের অসাধারণ কীর্তি

‘মিশন মঙ্গল’র প্রতি সমালোচকদের অভিযোগ হলো, এই সিনেমায় মহাকাশ বিজ্ঞানকে অতিরিক্ত সরলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গড়পরতায় যারা নিয়মিত সিনেমা দেখেন, এমনকি বাচ্চাদের জন্যও এটাকে সহজবোধ্য করে ফেলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অক্ষয় বলেন, ‘সিনেমাটি নির্মাণ করার পেছনে আমাদের লক্ষ্যই ছিল বিজ্ঞানকে সহজ-সরলভাবে উপস্থাপন করা। এমনকি আমি নিজেও এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, কিন্তু এর কাহিনী এতোটা সরল যে আমি সহজেই তা বুঝতে পারলাম। আমরা শুধু জ্ঞানীদের জন্য নয়, শিশুদের জন্যও সিনেমাটি বানিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।