ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

মাছরাঙা টিভিতে ‘আমি জয়া বলছি’

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১১
মাছরাঙা টিভিতে ‘আমি জয়া বলছি’

মাছরাঙা টিভিতে আগামী ৯ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে প্রচারিত হবে নাটক ‘আমি জয়া বলছি’।

নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন ব্রাত্য আমিন।

এতে অভিনয় করেছেন তৌফিক হাসান, শাহাদাৎ হোসেন, সাবেরী আলম, মাহমুদ সাজ্জাদ, শামসুল আলম বকুল, তাহমিনা সুলতানা মৌ, আরাবি রহমান এবং একটি অতিথি চরিত্রে দীপা খন্দকার।

জয়া চৌধুরী একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে সবার কাছে একজন ছেলে হিসেবে জন্ম নিয়েছিল। অথচ কোনো কালেই ছেলেদের খেলাধূলা তার পছন্দ ছিল না, মেয়েদের পছন্দনীয় জিনিসই তাকে আকৃষ্ট করত। এই সমাজ তার সবকিছুই খুবই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছিল, শুধুমাত্র একটি বিষয় ছাড়া, আর তা হলো সে ছেলে হয়ে জন্ম  নিয়েও হঠাৎ একজন মেয়ে হয়ে যেতে পারে না! অথচ সে হঠাৎ করে মেয়ে হয়ে যায় নি। সে জন্মগত ভাবেই এরকম। কোনোভাবেই সে নিজেকে একটি ছেলের সাথে তুলনা করতে পারে না। সে ভালোবাসে একজন ছেলেকেই। এটা কিভাবে সম্ভব! তাহলে তার পরিচয় কি! সে কি একজন সমকামী! না। তাহলে! সে কি আমাদের সমাজের তথাকথিত হিজড়া! না।

জয়া চৌধুরী একজন রূপান্তরকামী মানুষ।   আমরা শান্তিকামী মানুষ, জটিল বিষয় নিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ি করতে পছন্দ করি না। কিন্তু তাই বলে জটিল বিষয়টা তো আর এমনি এমনি সহজ হয়ে যাবে না, তাই না? সমাজের মানুষের কাছে বিষয়টা ‘অহেতুক বাড়াবাড়ি’ মনে হলেও জয়ার জীবনে এটাই বাস্তব এবং সত্য। জীবনটা যেহেতু তার, সুতরাং সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হয়। জয়ার স্বঘোষিত এই নব পরিচয় এবং চলাফেরা  আমাদের সমাজ স্বাভাবিক বলে মেনে নেয় না, যার প্রভাব পড়ে পরিবারে এবং এই সংঘাত নিয়েই জয়ার পথচলা। কিন্তু কতদূর!

এই গল্প একজন ‘জয়’ চৌধুরী কিভাবে ‘জয়া’ চৌধুরী হয়ে উঠল তার গল্প। এই গল্প একজন রূপান্তরকামী মানুষের গল্প। ‘আমি জয়া বলছি’ নাটকটি প্রযোজনা করেছেন ব্রিজ এন্টারটেইনমেন্ট।

বাংলাদেশ সময় ০৫৪৫, ডিসেম্বর ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।