মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান ও তার স্ত্রী কিরণ রাও পুত্রসন্তানের বাবা-মা হয়েছেন। তাদের এই বাবা-মা হওয়ার খবর মিডিয়ায় চাউর হলে বলিউডের অনেকেই হতবাক হয়ে যান।
আজকের পৃথিবীতে সন্তানের বাবা-মা হওয়ার বিকল্প কৃত্রিম পদ্ধতি হলো ইন ভিটরো ফার্টিলাইজেশন, সংক্ষেপে আইভিএফ। এ পদ্ধতিতে বাবার শুক্রানু আর মায়ের ডিম্বানু শুক্রাণু নিয়ে গবেষণাগারে তা একত্রিত করা হয়। তারপর বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় তা অন্য কোন নারীর দেহে প্রবেশ করানো হয়। ওই নারীর গর্ভে সাধারণ ভ্রুণের মতোই সন্তান পূর্ণতা পায় এবং নির্দিষ্ট সময়ে সন্তান ভূমিষ্ট হয়। নবজাত শিশুটিকে এরপর তুলে দেওয়া হয় তার প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে। অন্য বাবা-মার সন্তান নিজগর্ভে ধারণের জন্য ভাড়াকৃত নারীকে চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়।
আইভিএফ পদ্ধতির অবলম্বনের কারণেই কেউই এতদিন জানতে পারেননি যে, আমির খানের পরিবারে নতুন অতিথি আসছে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে কিরণের মা হওয়ার কারণ হলো তার কিছু শারীরিক সমস্যা। এর আগে কিরণ রাওয়ের গর্ভে একাধিকবার সন্তান এসেছিল। কিন্তু গর্ভপাত হওয়ায় মা হওয়া সম্ভব হয়নি কিরণের। চিকিৎসকরা জানান, কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে কিরণের গর্ভে সন্তান ধারণ সম্ভব নয়। অন্যের গর্ভ ভাড়া করে তবেই মাতৃত্বের সুখ পেতে পারবেন কিরণ। এরপরই আমির খান আর কিরন রাও বাবা-মা হওয়ার জন্য কৃত্রিম পদ্ধতি বেছে নেন। গোপনে চলতে থাকে সন্তানের জন্য তাদের অপেক্ষা।
ডিসেম্বরের ১ তারিখে অপেক্ষার আমির দম্পতির অপেক্ষার পালা শেষ হয়। অন্যের গর্ভে পূর্ণতা পাওয়া তাদের ফুটফুটে সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখে। এই সুসংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও অবশ্য আমির খান মিডিয়াকে জানাননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে এটি প্রকাশ পায়।
আমির-কিরণের ঘণিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাইয়ের একটি অভিজাত বেসরকারি হাসপাতালে ভাড়া করা মা এবং নবজাতক সুস্থ আছে। মিডিয়ার চোখ এড়িয়ে কিরণ রাও নিজেও নবজাত শিশুর পাশে হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
আমির খান আর কিরণ রাও দাম্পত্যজীবনেএটিই প্রথম সন্তান। তবে আমির খান এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাবা হয়েছেন। আগের স্ত্রী রিনা দত্তের সংসারে আমির খানের জুনায়েদ খান ও আইরা খান নামে দুই সন্তান আছে।
বাংলাদেশ সময় ০০৪৫, ডিসেম্বর ০৬, ২০১১