ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

সিউলে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
সিউলে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব অতিথিবৃন্দ উৎসবের উদ্বোধন করছেন

দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আয়োজিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সিউলের ইয়ংসান-গু আর্ট হলে মঙ্গলবার (১১ জুন) উৎসব শুরু হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কিম কিসন (এম পি) এবং ইয়ংসান কাউন্টির মেয়র জাং-হিয়ুন সুং । এছাড়া এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনীতিক ছাড়াও সংখ্যক কোরিয়ান নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।

সিউলের উৎসবস্থলউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, উৎসবের জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্রসমূহ সমসাময়িক বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামো ও সংস্কৃতির প্রতিফলন।  

তিনি সবাইকে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র উপভোগের আহবান জানান। উৎসবটি  উভয় দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া বক্তব্যে উৎসব আয়োজনে বরেণ্য চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলামের সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এই নির্মাতা আকস্মিক অসুস্থতার কারণে উৎসবে যোগ দিতে পারেননি। উৎসবে আগত দর্শনার্থীরাইয়ংসান কাউন্টির মেয়র জনাব জাং-হিয়ুন সুং চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান। তার বক্তব্যে উভয় দেশের মধ্যে কোরিয়ার ভাষা সংগ্রামের ক্ষেত্রে যে সাদৃশ্য রয়েছে তা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি মাতৃভাষা দিবস (একুশে ফেব্রুয়ারি) ও হাঙ্গুল ডে (০৯ অক্টোবর, কোরিয়ান ভাষা দিবস) নিয়ে বাংলাদেশী এবং কোরিয়ানদের বিশেষ আবেগের কথাও উল্লেখ করেন ।  

এছাড়া কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কিম কিসন বলেন, এ ধরণের অনুষ্ঠান বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরালো করতে অসামান্য ভূমিকা রাখবে।  

অতিথিদের বক্তব্যের পর রাষ্ট্রদূত, প্রধান অতিথিবৃন্দ, কোরিয়ান কালচারাল এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, কোরিয়ান ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর সেক্রেটারি জেনারেল এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ফিতা কেটে উৎসবের জমকালো উদ্বোধন করেন।   বাংলাদেশি বিভিন্ন কারুপণ্যএরপর উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে অনম বিশ্বাস পরিচালিত দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র ‘দেবী’ প্রদর্শনের পর একই দিন মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া উৎসবের বাকি দিনগুলিতে এগারোজন তরুণ পরিচালক নির্মিত ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ এবং রোবাইয়াত হোসেন পরিচালিত ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ প্রদর্শন করা হচ্ছে।   

কোরিয়ানদের মাঝে বাংলাদেশী পণ্য পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশি বিভিন্ন কারুপণ্য দিয়ে থিয়েটার হলের প্রবেশস্থল সাজানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।