বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এস এম আসলাম তালুকদার মান্নার অবহেলাজনিত মৃত্যুতে দায়ের করা মামলা নিয়ে আসামীপক্ষ সময়ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না ও মামলার আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পর থেকেই মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে।
২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেন নায়ক মান্নার শ্যালক রেজা কাদের। পরে এই মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হয়। বিচারবিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ২০০৯ সালের ২৮ জ্নাুয়ারি ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরদিনই তাঁরা হাইকোর্টে জামিনের জন্য গেলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।
ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসর্মপণ করলে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে স্বাক্ষর করে জামিন লাভ করেন। এরপর ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিশেষ দায়রা জজ ফিরোজ আলম। এরপর এক, দুই ও তিন নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য থাকা দিনেই সংশি¬ষ্ট বিচারক বদলী হয়ে যান। থেমে যায় সাক্ষ্য গ্রহণ।
এরপর আসামীপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। কিন্তু সেই রিট আবেদনের শুানানীও শুরু করছেন না আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। ইতিমধ্যে এ বছর (২০১১ সালে) শুনানীর জন্য পনেরো কার্যদিবস ধার্য থাকলেও আসামীপক্ষ শুনানী না করে সময়ক্ষেপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মান্নার মামলার আইনজীবী ড. ব্যারিস্টার খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুল হুদা। আগামী বৃহস্পতিবার ১ ডিসেম্বর এই মামলায় শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় গাড়ি চালিয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে যান মান্না। ওই হাসপাতালে যাওয়াই ছিল তার জীবনের শেষ যাওয়া। সেদিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহলোয় তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
বাংলাদেশ সময় ১৭১০, নভেম্বর ২৯, ২০১১