ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

রামুতে ‘নন্দন’র মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
রামুতে ‘নন্দন’র মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা মঞ্চে গান পরিবেশন করছেন ‘নন্দন’র শিল্পীরা

কক্সবাজার: বাইরে বৃষ্টি আর ভেতরে সুরের আবাহন। এ দু’য়ের অপূর্ব মেলবন্ধনে দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধ করল ‘নন্দন’র পরিবেশনা।

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজারের রামুর খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা গান ও গজল সন্ধ্যা। আয়োজন করে সুকুমার ও ললিতকলা পীঠ ‘নন্দন’।

অনুষ্ঠান চলে রাত সোয়া দশটা পর্যন্ত।

দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ‘কচি প্রাণের হাসি গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। এর আগে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার দে।

তিনি বক্তব্যে রামুর শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এ ধরনের আয়োজন বেশি বেশি করার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে ‘এক গোছা সুন্দর ফুলের মতো’ গান দিয়ে শুরু হয় পরিবেশনা। এরপর রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীত, আধুনিক গান, দেশের গান, লালন গীতি, হাছন রাজার গান, পল্লীগীতিসহ একে একে বিশটি গান পরিবেশন করে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

এ পর্বে দারুণ শ্রুতি মধুর ছিল সদ্য সমাপ্ত ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মেলা’র গোল্ড মেডেল বিজয়ী রামুর শিল্পী মেহজাবিন রুবাইয়াত ঈশিকার কণ্ঠে ‘নিঝুম সন্ধ্যায়’ গানটি।   নতুন মাত্রা যোগ করে চিকু বড়ুয়ার কণ্ঠে ‘রাগ-বাগেশ্রী’ প্রেরণা বড়ুয়া স্বস্থির গাওয়া ‘রাগ ভূপালী’ আর অতসীর কণ্ঠে রাগ-ইমন।

বাড়তি আকর্ষণ ছিল কলেজ শিক্ষক নীলোৎপল বড়ুয়ার কণ্ঠে-‘ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’। তাকে এতদিন উপস্থাপক হিসাবে দেখা গেলেও গানে এই প্রথম আত্মপ্রকাশ করলেন তিনি।

এ পর্বে অন্যান্যদের মধ্যে গান পরিবেশন করেন  সামিরা, সুস্মিতা, স্বরজিৎ, সুপা, মীম, ঐন্দ্রিলা, আসিফ, শিমলা, ইপসিতা, রিয়া, রাজর্ষি, ফাইজা কালাম, অন্নি, অতসী, শ্রাবন্তী, প্রহেলী, হিমাদ্রি ও রিশপা।

বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মানসী বড়ুয়া ও বেতারের উপস্থাপক অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এ আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘নন্দন’র অধ্যক্ষ বিশিষ্ট উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ ফারুক আহমেদের বাংলা গান ও গজল। তিনি আটটি গান পরিবেশন করেন। কিন্তু হলভর্তি দর্শকদের অভিব্যক্তি দেখে মনে হল, কারোই গানের খিদে মেটেনি।

‘নন্দন’র অধ্যক্ষ ওস্তাদ ফারুক আহমেদ বলেন, এক সময়ের শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির পাদপীঠ ছিল এই রামু। কিন্তু সেই ঐতিহ্য রামুবাসী হারাতে বসেছে। সেই ঐতিহ্যকে কিছুটা হলেও ধরে রাখতে ‘নন্দন’র এই প্রয়াস। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের এই ক্ষুদে শিল্পীরাই আগামী রামুর সংস্কৃতির হাল ধরবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মেলায় জাতীয় পর্যায়ে গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত রামুর দুই কৃতি শিল্পী মেহজাবিন রুবাইয়াত ঈশিকা ও তার ছোট বোন মেহরীন রাহব্বাত ইপসিতাকে ফুল এবং ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে গিটারে জুলফিকার আলী, এস্রাজে রেজাউল করিম রেজু, কী-বোর্ডে মিজান এবং তবলায় ছিলেন রবিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।