ভেনেজুয়েলার ২১ বছর বয়সী সুন্দরী ইভিয়ান সার্কোস এবার জিতে নিতে নিয়েছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড‘ খেতাব। লন্ডনের অর্লস কোর্টে গত রোববার গ্র্যান্ড ফিনালের জমকালো অনুষ্ঠানে ১১৩ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলা সুন্দরীশ্রেষ্ঠার মুকুট অর্জন করেন মিস ভেনেজুয়েলা ইভিয়ান সার্কোস।
মিস ওয়ার্ল্ড ২০১১-এর খেতাব বিজয়ী ইভিয়ান সার্কোসের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের মিস ওয়ার্ল্ড যুক্তরাষ্ট্রের আলেক্সান্দ্রিয়া মিলস। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন ফিলিপাইনের গুয়েনডোলিন রুয়েইস। আর দ্বিতীয় রানার আপের খেতাব জিতেছেন পুয়ের্তো রিকোর আমান্ডা পেরেজ।
মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী ইভিয়ান তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নিজেকে আমার সত্যিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নারী বলেই মনে হচ্ছে। আমাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য আমি আমার বাবা-মার কাছে কৃতজ্ঞ। যদিও খুব কম বয়সে আমি তাদের হারিয়েছি। তবে নিশ্চয়ই তারা স্বর্গে বসে আমার এই সাফল্য দেখছেন। আমার এতো খুশি লাগছে, ইচ্ছে হচ্ছে চিৎকার করে কাঁদতে।
ইভিয়ান সার্কোস মাত্র আট বছর বয়সে তার বাবা-মাকে হারান। এতিম ইভিয়ান সার্কোসের শৈশব কাটে নানদের পরিচালিত একটি মঠে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন একটি টেলিভিশনে। ভবিষ্যতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার হয়ে অনাথ শিশুদের জন্য কাজ করতে চান তিনি। এই লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি সংস্থাও খুলে ফেলেছেন ভেনেজুয়েলার এই তরুণী।
২১ বছর বয়সী ইভিয়ান সার্কোস ‘মানব সম্পদ’ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী। ভলিবল খেলতে তিনি খুব পছন্দ করেন। স্বপ্ন দেখেন পৃথিবীর অনাথ শিশুদের মুখে হাসি ফুটানোর।
লন্ডনের অর্লস কোর্টেই ১৯৫১ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার প্রথম আসরটিও বসেছিল । ১১৩টি দেশের প্রতিযোগীদের নিয়ে এবারের প্রতিযোগিতা টেলিভিশনে সরাসরি দেখেছেন ১৫০টিরও বেশি দেশের প্রায় এক বিলিয়ন দর্শক।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫০, নভেম্বর ০৯, ২০১১