ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

ঈদে একুশে টিভি প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘অন্ধ নিরাঙ্গম’

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১১
ঈদে একুশে টিভি প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘অন্ধ নিরাঙ্গম’

একুশে টেলিভিশন প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অন্ধ নিরাঙ্গম’। আসছে ঈদুল আযহা উপলক্ষে একুশে টেলিভিশনে  ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ছবিটি ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে।

সম্প্রতি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে ‘অন্ধ নিরাঙ্গম’ ছবি। ছবিটির কাহিনী, চিত্রনাট্য, শিল্প নির্দেশনা ও পরিচালনায় রয়েছেন হাসিবুর রেজা কল্লোল । এতে অভিনয় অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, সঞ্জীব আহমেদ, রিতু এ. সাত্তার, ফখরুজ্জামান চৌধুরী, আমিনুর রহমান বাচ্চু, শিহাব পারভেজ, ইমদাদ ফকির, লাভলী ফকিরানী, এ.এফ.এম মনিরুজ্জামান শিপু, মিডারি কারটিস, মাগালি লাভিরাত্তি,দিয়ারমাইদ স্পাইরো, জোসায়ামেকনামাভা, ইজমাইলানেজুঙ্গম, তিমথি ম্যাককেইন, আনুশেহ্ আনাদিল, ও অনেকে।

‘অন্ধ নিরাঙ্গম’-এর কাহিনীধারায় দেখা যাবে। ফকির লালন সাইয়ের স্মরনোৎসবে যোগ দিতে আসেন কয়েকজন বিদেশী পর্যটক। রেল গাড়িতে উঠে বাংলাদেশের অপার সৌন্দর্য দেখতে দেখতে তারা চলতে থাকেন। গন্তব্য কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন ফকিরের আখড়া বাড়ি। সঙ্গে থাকা গাইডকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তারা জেনে নেন, কে ছিলেন লালন! কয়েক স্টেশন পরে তাদের সহযাত্রী হন দুজন পোশাকধারী বাউল। একই গন্তব্যে চলা শুরুহয়। বাউল দুজন গান ধরেন । একসময় তারা পৌছানছেউড়িয়ায় আখড়া বাড়িতে। পর্যটকদের মনে প্রশ্ন জাগে, এ যুগে লালনকে তারা কোথায় খুঁজে পাবে।

একজন নিভৃতচারী মাতাজির সঙ্গে তাদের পরিচয় হয় নিভৃতচারী একজন মাতাজীর, যিনি জীবন যাপন করেন লালন ফকিরের শুদ্ধ অনুসারী হিসাবে, শমসের সাইয়ের সাধন সঙ্গিনী তিনি। জীবনের নানা বাকে মাতাজী মনে করেন এবং মেনে চলেন বাউল পথ। তাঁদের উপর অত্যাচার, বিভিন্ন সময়ের সাধু সঙ্গ ঘুরে ফিরে আসে তাঁর কল্পনায়। তাঁর নিভৃত আখড়া বাড়ীতে দুজন ভক্ত আসে-  যারা প্রকৃতপক্ষে সংসারী মন-বাসনায় বাউল এই প্রকৃতির। একসময় উন্মোচিত হয় তাদের আসল চেহারা।

বাউল নিয়মে সন্তান উৎপাদন অর্থ, আত্মার ক্ষয়- যা খিলাফত প্রাপ্ত বাউলের জন্য চরম পাপ। অন্ধ নিরাঙ্গম- যার অর্থ গুরুর শিক্ষা যাদের উপরে কোনো প্রভাব ফেলেনা। আখড়া বাড়ির পবিত্রতা লঙ্ঘণ আর বাউল নির্দেশনার খেলাপ করার অপরাধে ভক্তদুজনের খিলাফতের কাপড় কেড়ে নিয়ে তাদের আখড়া থেকে বের করে দেন মাতাজী।

ভক্ত দুজন চলে যায়- মাতাজীর মনে অপরাধ বোধ জাগে, তিনি হয়তো পারতেন ভক্ত দুজন কে সঠিক পথে পরিচালিত করতে। পারেননি -এ ব্যর্থতা তাঁরই। এ ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে ক্রমেই তিনি এগিয়ে যান মৃত্যুর দিকে।   মাতাজী তাঁর আখড়া বািড়তে আয়োজন করেন সাধু সঙ্গের। গানের আসর চলার ফাকে অসুস্থতা বোধ করে তিনি ঘরে আসেন, গান চলার মাঝেই ভক্ত সুলতান সাইয়ের একতারার তার ছিড়ে যায়- দেহ ত্যাগ করেন মাতাজী ।

একই সময়ে মাতাজীর ঘরে আসেন আখড়া থেকে বিতাড়িত সেই দুই ভক্ত। তাদের সঙ্গে নবজাতক সন্তান,  যে সন্তানের জন্ম বাউল আদেশ অমান্যের কারণে । মাতাজীর পায়ের কাছে শিমু সন্তানকে সমর্পণ করে তারা চলে যায়.। এই শিশু ভক্তের মাঝেই বেঁচে থাকেন লালন, তাঁর দর্শন আর তত্ব নিয়ে- আর এর মাঝেই লালনকে খুঁজে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময় ১৭৫৫, অক্টোবর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।