এই প্রথম দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করতে যাচ্ছেন নূরুল আলম আতিক। ‘যাদুর শহর’ নামের এই ধারাবাহিকটির শুটিং শুরু হচ্ছে এমাসেই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়।
এ নাটকের মাধ্যমে প্রায় ২২ বছর পর কোন টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করতে যাচ্ছে নায়লা আজাদ নুপুর। তিনি সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। দীর্ঘদিন নায়লা আজাদ নুপুর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছিলেন। বাংলাদেশের একসময়ের জনপ্রিয় এই নাট্যাভিনেত্রী অভিনয় করেছেন হলিউডের একাধিক মেইনস্ট্রিম ফিল্মে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্টর্ম ইন দ্য আফটারনুন (১৯৯৮), টোয়েন্টি সেভেন থাউজেন্ড ডেজ (২০০৭), ক্রসিং ওভার (২০০৯) প্রভৃতি ছবিতে। এছাড়া হলিউডের একটি টিভি চ্যানেলের ‘ডিপ্রাইভড হার্ট’ সিরিজেও অভিনয় করেছেন তিনি। বাংলাদেশের আবু সাইয়ীদ পরিচালিত ‘কীর্তনখোলা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নায়লা আজাদ নুপূর।
‘যাদুর শহর’ নাটকের অন্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ডলি জহুর আজিজুল হাকিম, মুনিরা মিঠু, মহিউদ্দিন বাহার, শিল্পী সরকার অপু, মৌসুমি বিশ্বাস, পারভেজ খান, ইকবার চৌধুরি, আজরা, হিল্লোল, জ্যোতিকা জ্যোতি, দিহান, মাজনুন মিজান, সুষমা সরকার সহ অনেকে।
ধারাবাহিকটির চরিত্র ও চরিত্রায়ন সম্পর্কে নূরুল আলম আতিকের বলেন, আমাদের এই ধারাবাহিকের মূল চরিত্র হলো শহরটা; শহরবাসী নানান ধরনের মানুষ। নিয়মিত অভিনয় শিল্পীদের বাইরে অসংখ্য চরিত্র রয়েছে যার চরিত্রায়ণ করবেন ওই পেশা বা চরিত্রের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত কেউ। এই যেমন, একটি চরিত্রের নাম মন্দিরা, সে সাঁতারু। ওই চরিত্রের জন্য আমরা একজন গুণী সাঁতারু, বিউটিকে দেখতে পাবো। আবার সিএনজি ড্রাইভারের চরিত্রের প্রয়োজনে অশোক বেপারী মাসখানেক ধরে ঢাকার রাস্তায় সিএনজি চালনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
মূলত: ঢাকা শহরের বিভিন্নপ্রান্তে থাকা ভিন্নভিন্ন স্তরের মানুষের বেঁচে থাকবার নিজস্ব যাদু ও বাস্তবতা নিয়ে এ নাটকের গল্পের শাখা প্রশাখা বিস্তার হবে। শহর নিয়ে ধারাবাহিক নির্মাণ প্রসঙ্গে নূরুল আলম আতিক বলেন, ‘আমাদের অডিও ভিজ্যুয়ালে এই শহরটার প্রতিফলন থাকে খুব কম, তাও অনেকটা ব্যাকড্রপ হিসাবে। যাদুর শহরে আমাদের চেষ্টা থাকবে এই ঢাকা শহরের সাথে শহরবাসীর সম্পর্কটা রচনা করা। যাতে আমরা শহরটাকে নিজের করে নিতে পারি, ভালোবাসতে পারি।
নতুন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল টুয়েন্টিফোর’-এর জন্য ধারাবাহিকটি নির্মাণ করছে পান্ডুলিপি কারখানা।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫০, অক্টোবর ৪, ২০১১