ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

এবার এফডিসিতে পা রেখে চমকে গেলাম : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা

বিপুল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১১
এবার এফডিসিতে পা রেখে চমকে গেলাম : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা

কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।   নায়ক ফেরদৌস প্রযোজিত প্রথম ছবি  ‘এক কাপ চা’ ছবির শুটিংয়ে তিনি অংশ নিচ্ছেন।

তরুণ নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল পরিচালনায় চলছে ছবিটির শেষ অংশের শুটিং। এফডিসিতে শুটিংয়ের ফাঁকে বাংলানিউজের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।

প্রথমেই ঋতুপর্ণা  জানালেন, ‘এক কাপ চা’ ছবিতে করা নিজের চরিত্রটি সম্পর্কে। চরিত্রটির নাম দিলরুবা। হাই সোসাইটির ক্যাবার ড্যান্সার পরিচয়ের আড়ালে পতিতাবৃত্তিই তার আসল পেশা। ঋতুপর্ণা বলেন, এই ছবিতে আমি করছি নাচগান জানা এক পতিতার চরিত্রে অভিনয়। নাইট ক্লাবে নাচ-গান করার পাশাপাশি সমাজের উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে হোটেলে রাত্রি যাপন করাই হলো আমার কাজ। কলেজের অধ্যাপক ফেরদৌসের সঙ্গে একপর্যায়ে আমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে প্রায় রাতেই হোটেলে আমার কাছে আসে। আমি তাকে এড়াতে চাইলেও পারি না। এ ছবিতে আমার সঙ্গে অভিনয় করছেন শাকিব খান, মৌসুমীসহ অনেকেই।

‘এক কাপ চা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য একাধিকবার শিডিউল দিয়েও কথা রাখেননি ঋতুপর্ণা। তার কারণে ছবির কাজ বেশ Rituparnaখানিকটা পিছিয়ে গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, পুরো ব্যাপারটাই ছিল একধরণের মিস কমিউনিকেশন। ফেরদৌসের সঙ্গে অনেক ছবিতে আমি অভিনয় করেছি। কাজেই তার প্রযোজনার প্রথম ছবিতে শিডিউল নিয়ে ঝামেলা করা আমার জন্য মোটেও শোভনীয় নয়। আসলে আমি ছিলাম তখন সন্তান-সম্ভবা। অনাগত সন্তানের চিন্তায় মানসিকভাবে অস্থির ছিলাম। শরীরের অবস্থাও ভালো ছিল না। ঐ অবস্থায় শুটিংয়ে অংশ নিলে ভালোর চেয়ে মন্দটাই বেশি হতো। কয়েকমাস পেছালেও এখন আমি মন দিয়ে কাজটা শেষ করে যেতে চাই।

এবার ঢাকায় এসে কেমন লাগছে? এ প্রশ্নের উত্তরে ঋতুপর্ণা বললেন, ভালো লাগছে খুব। কারণ ঢাকায় এর আগে অনেকবার এসেছি। এ শহরে আমার কিছু ভালো কাজের স্মৃতি আছে। ভালো লাগেনি, ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে লেগে থাকা ট্র্যাফিক জ্যাম। আগেও এসে দেখেছি, ঢাকায় লম্বা যানজট লেগে থাকে। কিন্তু এবার মনে হলো তা অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। তাছাড়া এফডিসিতে পা রেখে আমি চমকে গেলাম। চারদিক কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগছে। এই এফডিসিকেই আমি দেখে গেছি জমজমাট অবস্থায়। এখন এফডিসির সবকিছু  ফাঁকা ফাঁকা। এখানে সেখানে লোকজনের জটলা নেই। পুরনো মানুষদের খুব কম চোখে পড়েছে। যাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, তাদের সবাই বেশ খানিকটা বুড়িয়ে গেছেন।

ছবির পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল সম্পর্কে তিনি বলেন, বয়সে তরুণ হলেও কাজ তিনি ভালোই বোঝেন। ফেরদৌসের মুখ থেকে নেয়ামূল সম্পর্কে অনেক শুনেছি। তার তৈরি করা বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের কাজও দেখেছি। নেয়ামূল সম্পর্কে উঁচু ধারণ নিয়েই ‘এক কাপ চা’ ছবিতে অভিনয় করতে আসি। যতোটুকু কাজ করলাম তাতে  তার প্রতি আমার উঁচু ধারণা আরো বেড়ে গেছে। ছবিটি তিনি ভালোই বানাবেন ।

কলকাতা, মুম্বাই ও ঢাকা; তিনটি ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রির ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ঋতুপর্ণার। তিন ইন্ড্রাস্ট্রির মধ্যে কোনটিতে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্য পান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে তিন ইন্ড্রাস্ট্রির কাজের ধরণ তিন রকম। একটা সময় ঢাকার ছবির চেয়ে কলকাতার ছবি বেশ পিছিয়ে ছিল। সে সময়ই আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করি। ঢাকার প্রযোজক-পরিচালকদের আগ্রহের কারণেই একের পর এক তখন এদেশের ছবিতে অভিনয় করেছি। তবে কলকাতা হলো আমার নিজস্ব জায়গা। এখন তো ঢাকার চেয়ে কলকাতার ছবি অনেক এগিয়ে গেছে। মুম্বাইয়ের কয়েকটি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছি। আমার অবশ্য বাংলা ছবিতেই অভিনয় করতে বেশি ভালো লাগে। এখন আমি ছবি করছি অনেক কম।   সন্তান আর সংসারের প্রতি আমার বেশি মনোযোগ।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা জানালেন, একটানা শুটিংয়ের কাজ শেষ করে ৩০ জুলাই রোববার রাতে তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এরপর ছবির ডাবিংয়ে অংশ নেওয়ার জন্য আবার ঢাকায় আসবেন আগস্টের শেষ নাগাদ।

বাংলাদেশ সময়  ১০৩০, জুলাই ২৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।