ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

শুরু হলো সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১০
শুরু হলো সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস

বাংলাদেশে সুস্থ সঙ্গীতের বিকাশকে অনুপ্রাণিত করতে গত ৫ বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড। সেই ধারাবাহিকতায় সিটিসেল ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ আয়োজনে ৬ষ্ঠ বার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইভেন্টের কার্যক্রম শুরু করা হলো।



বাংলাদেশে সুস্থ সঙ্গীতের বিকাশের ল্য নিয়ে সিটিসেল ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। দেশজুড়ে এই উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া পেয়েছে এবং বিভিন্ন কলাকুশলীদের কাছ থেকে অর্জন করেছে বিপুল প্রশংসা। চ্যানেল আই ভবনে ১১ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর উদ্বোধনী ঘোষণা দেন সিটিসেলের চিফ মার্কেটিং অফিসার কাফিল এইচএস মুঈদ এবং চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। অনুষ্ঠানে আগের ৫টি আয়োজনের কিপিংস প্রদর্শণ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিটিসেলের হেড অব মার্কেটিং কমিউনিকেশনস তাসলিম আহমেদ এবছরের প্রতিযোগিতার ক্যাটাগরিএবং নিয়মাবলী তুলে ধরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত জগতের বরেণ্যশিল্পী সুধীন দাস, সোহরাব হোসেন, শেখ সাদী খান, মোঃ রফিবুল আলম, আবিদা সুলতানা, শাম্মী আখতার, শাকিলা জাফর, মনির খান, ফাহমিদা নবী, রিজিয়া পারভীন, লীনা তাপসী, অদিতি মহসিন, বাপ্পা মজুমদার প্রমুখ। তারা শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশের সঙ্গীতাঙ্গণে এই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের প্রভাব তুলে ধরেন।    

৬ষ্ঠ সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এ মোট ১৬টি ক্যাটাগরিতে শিল্পী ও কলাকুশলীদের পুরস্কৃত করা হবে। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে রয়েছে: উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত (যন্ত্র), উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত (কন্ঠ), রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতি (পল্লী/মরমী), আধুনিক গান, ছায়াছবির গান, ব্যান্ডসঙ্গীত, আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড (অপ্রকাশিত), গীতিকার, নবাগত গায়ক ও গায়িকা, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কভার ডিজাইন, সঙ্গীত পরিচালক, মিউজিক ভিডিও ও আজীবন সম্মাননা।  

এবারের মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস কার্যক্রমকে মোট তিনটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক বাছাই, দ্বিতীয় বাছাই এবং চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে । শিল্পীদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে এবং অডিও ক্যাসেট, অডিও সিডি ও ভিসিডি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ২০০৯ সালে রিলিজ হওয়া অ্যালবাম চেয়ে চিঠি পাঠানোর মধ্য দিয়ে অ্যাওয়ার্ডস্ প্রাথমিক বাছাই কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। ২০০৯ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রকাশিত যেকোন অডিও অ্যালবাম  জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে সরাসরি শিল্পী অথবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে অন্যান্যবারের মতো এবছরও সাধারণ শ্রোতা এবং দর্শকদের মতামতের ভিত্তিতে এসএমএস ভোটিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় । চ্যানেল আই ভবনে (৪০, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরনি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ এই ঠিকানায়) ৬ষ্ঠ সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস্-এর অ্যালবাম জমা নেয়া হচ্ছে ১২ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর।  

৬ষ্ঠ সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের চুড়ান্ত পর্দা উন্মোচিত হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে এক জমজমাট আয়োজনে মাধ্যমে। এই ইভেন্টের মিডিয়া পার্টনার হচ্ছে আনন্দ আলো, রেডিও টুডে, এবং অনলাইন নিউজপেপার পার্টনার বিডি নিউজ২৪.কম।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৩০, আগস্ট ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।