ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কান উত্সব ২০১৬

তিন জনের ‘আয়নাবাজি’ কানে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
তিন জনের ‘আয়নাবাজি’ কানে  কান চলচ্চিত্র উৎসবে (বাঁ থেকে) জিয়াউদ্দিন আদিল, অমিতাভ রেজা ও গাউসুল আলম শাওন

৬৯তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছেন  আলোচিত ছবি ‘আয়নাবাজি’র নির্মাতা অমিতাভ রেজা। তার সঙ্গে আছেন চলচ্চিত্রটির প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল ও গাউসুল আলম শাওন।

মঙ্গলবার (১৭ মে) মার্কোদা ফিল্মের গ্রে থ্রি হলে ‘আয়নাবাজি’ দেখানো হচ্ছে।  

জানা গেছে, প্রদর্শনী দেখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, ভারত, রোমানিয়া, তুরস্কসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের দর্শক এসেছেন। আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র বাছাই করতে ও বানিজ্যকরণের লক্ষে বিভিন্ন দেশের নির্মিত, প্রযোজক ও বিনিয়োগকারী এই প্রদোর্শনীতে উপস্থিত থাকেন। ‘আয়নাবাজি’ এরই মধ্যে কান ছাড়াও কানাডা, ইরান ও কায়রো চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছে।

নির্মাতা অমিতাভ রেজা বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণ একটি দলবদ্ধ উদ্যোগ। এখানে আগত দর্শকদের ভালোলাগা দেখে বলতেই পারি, আমাদের দলটি অসাধারন কাজ করেছে। ’

টপ অফ মাইন্ডের সিইও ও চলচ্চিত্রটির প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল বলেছেন, ‘চলচ্চিত্রটি দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছে। এর ছাপ দেখতে পাচ্ছি প্রদর্শনীতে। এটি একেবারেই ভিন্নধর্মী ও প্রাণবন্ত চলচ্চিত্র। ’

প্রযোজক ও অভিনেতা গাওসুল আলম শাওন বলেছেন, ‘দেশের দর্শকরা এই চলচ্চিত্রটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমার বিশ্বাস, কান চলচ্চিত্র উৎসবের এই সাফল্য তাদের আগ্রহকে আরও দ্বিগুন করে তুলবে। ’ 

অমিতাভ রেজার অভিষেক চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’তে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা, লুৎফর রহমান জর্জ, হিরা চৌধুরী, শওকত ওসমান, গাওসুল আলম শাওন প্রমুখ। এর চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন করেছেন অনম বিশ্বাস ও গাওসুল আলম শাওন। নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন এশা ইউসুফ।  

‘আয়ানাবজি’র গল্পে দেখা যাবে, শহরের ভিতরে আরও একটি শহর আছে। যার গল্প এখন আর কেউ শোনে না। সিনেমা-নাটকেও তাকে দেখা যায় না। ‘আয়নাবাজি’ সেই শহরের গল্প। যে শহরে এখনও সকালে দুধওয়ালা আসে, ফেরিওয়ালারা হাঁকডাক দেয়, বাচ্চারা দল বেঁধে নাটক শিখতে যায়। মহল্লার পুরীর দোকানে চা খাওয়া হয়, ঠাট্টা-মশকরা করা বখাটেরা। আয়না (চঞ্চল চৌধুরী) সেই শহরের একজন বাসিন্দা।

সহজ আর সরল, সেখানে তার একাকী জীবন আর ছোট বাচ্চাদের নিয়ে একটা নাটকের দল। তার মাঝে হঠাৎ হয়ে যায় একটা সহজাত প্রেম। মেয়েটির নাম হৃদি (নাবিলা)। জীবনের প্রয়োজনে আয়না নতুন শহরে আসে। কিন্তু মুখোশ পাল্টিয়ে, অন্য মানুষ হয়ে, চেনা কিছু মানুষের ডাকে। সেই মানুষগুলোর জন্য আয়না কাজ করে জীবিকার প্রয়োজনে, তারপর ফিরে যায় তার ছোট্ট মহল্লায়।

এ রকম আসা-যাওয়ার মাঝে কখনো আটকে পড়ে নষ্ট শহরের বেড়াজালে। বের হয়ে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেও পারে না তার মহল্লার একজন আয়না হতে। রঙিন মুখোশ আর খুলতে পারে না আয়না। আয়না তার ফেলে আসা প্রেম আর নাটকের স্কুলের কাছে যেন আর ফিরে যেতে পারে না।  

যে অভিনয়কে ভালোবেসে আয়না এই শহরকে মঞ্চ বানাতে চায়, সেই মঞ্চ একদিন হয়ে যায় ফাঁসির মঞ্চ- যার জল্লাদের হাসির কাছে এই শহরের সেরা অভিনেতা পরাজয়ের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকে। এই যুগের স্পার্টাকাস আয়না যেন তার শেষ নাটকের মঞ্চে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে মানুষখেকো মানুষগুলোর।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬
এসও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।