ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

কান উত্সব ২০১৬

লাক্স-কান কথা

বৃষ্টিভেজা কান...

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
বৃষ্টিভেজা কান... ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কান (ফ্রান্স) থেকে: কান শহরে গত ৯ মে পা রেখেই বুঝেছি এবার আবহাওয়ার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা ঠিক হবে না। থেমে থেমে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এখানকার নিয়মিত চিত্র।

সেই দমকা হাওয়া গায়ে লাগলে হাড় পর্যন্ত কেঁপে ওঠে! গত পাঁচদিনে এখানে সূর্যের দেখা পেলাম খুব কম সময়। এই রোদ, এই বৃষ্টি- কানের এখানকার চিত্র এমনই। শনিবার (১৪ মে) উৎসবের চতুর্থ দিনে সকাল থেকে আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা ছিল। বিকেলে তো শুরু হলো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন এই মিলনমেলায় আমন্ত্রিত ও উৎসুক মানুষদের অবশ্য দমাতে পারেনি বৃষ্টির জল। ৬৯তম কান চলচ্চিত্র উৎসবকে ঘিরে সবার উচ্ছ্বাস ঠিকই ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে!বৃষ্টির শব্দ পেয়ে প্যালে ডি ফেস্টিভ্যাল ভবনের প্রেসরুমের ব্যালকনিতে বেরিয়ে দেখলাম, লালগালিচায় আসা তারকাদের দর্শন পেতে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছে শতাধিক উৎসুক মানুষ। ব্যালকনিতে ছাতার নিচে বসে আছেন বিভিন্ন দেশের কয়েকজন সংবাদকর্মী।

বৃষ্টি বন্ধ হতেই নেমে এলাম এসকেলেটরে। উৎসবের মূলকেন্দ্র প্যালে ডি ফেস্টিভ্যাল ভবনের নিচে নেমে গেলেই মার্শে দ্যু ফিল্ম বিভাগ। এখানে বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নগুলো ঘুরে দেখলাম। এসব জায়গায় ছবি কেনাবেচা চলে দিনভর। শুধু ছবি নয়, উৎসবের লোগো সংবলিত টুপি, টি-শার্ট, শোপিস, চাবির রিং বিক্রির স্টলও আছে। এসবের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ লক্ষণীয়। এখান দিয়ে অন্য পাশে মার্শে দ্যু ফিল্ম ভবনে যাওয়া যায়। ওই ভবনের মূল ফটক দিয়ে বেরিয়ে গেলেই চোখে পড়ে বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়ন। এসব প্যাভিলিয়ন অতিক্রম করে গেলে পাওয়া যায় বালুময় সৈকত। কান উৎসবে প্রতিদিন রাত সাড়ে নয়টায় (বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টা) সাগরপাড়ে ছবি দেখানো হয়। এই বিভাগের নাম 'সিনেমা ডি লা প্লাজ'। এই জায়গাটাতে দিনের বেলায় সূর্যস্নানে ডুবে থাকে নারী-পুরুষ সবাই।

 

সাগরপাড় থেকে ফিরতি পথে চোখে পড়লো মাথায় সুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট পরে দাঁড়িয়ে আছেন এক তরুণী। তার সামনে  টাক্সেডো পরা এক তরুণ। এই কপোত-কপোতিকে দেখে একটু এগোতেই চোখে পড়ে চীন থেকে আসা দুই টিভি সংবাদকর্মীকে। এদিকে, সন্ধ্যা ৭টায় ক্ষণিকের জন্য রোদ হেসেছিল! গ্রীষ্মকালে এখানে সূর্য ডোবে রাত ১০টার কাছাকাছি সময়ে। রোদ দেখে খাবার কিনে বসে পড়লাম একটি ফোয়ারার সামনে। এখানে আছে লর্ড ব্রোগহামের একটি মূর্তি। তিনি ছিলেন এই শহরের বন্ধু। ১৮৩৪ সালের ডিসেম্বরে কন্যাসন্তান ইলিওনোর লুইস যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডের এডিনবার্গ থেকে কানে আসেন তিনি। পরে এখানে জমি কিনে মেয়ের নামে একটি বাড়ি বানান ব্রোগহাম। এরপর শহরটির কল্যাণে কাজ করেন। এই ফোয়ারার ঠিক পাশে আরেকটি ফোয়ারা। দুটোই অনেক পুরনো আর দর্শনীয়। ফোয়ারা দেখতে দেখতে কানে ভেসে এলো গান। লালগালিচায় তারকারা হাজির হলে বাজানো হয় বিখ্যাত সব গান। এবার ওদিকটায় যাই। কিছুক্ষণ সুন্দরীদের দর্শন নেওয়া যাক!

বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
জেএইচ/আইএ

**ঐশ্বরিয়া পেলেন লাল গোলাপের তোড়া
**স্টিভেন স্পিলবার্গের খুব সামনে
** লালগালিচায় তৌকীর-বিপাশা
**প্রস্তুতি ছাড়াই কান মাতালেন ঐশ্বরিয়া
** পাগলা হাওয়ার তোড়ে...
** এই রাত ক্লুনি-আমালের!
***আরাধ্যকে নিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া

***জুলিয়া রবার্টসের পায়ে জুতা নেই!
***তোমরা ভুলে গেছো মল্লিকার নাম!
***জুলিয়েট বিনোশকে দেখে চোখ ফেরানো দায়!
***এক প্যাকেট বাদাম দুই ইউরো
**মন কেড়ে নেওয়া গল্পগুলো
**কান উৎসবের বাজেট ২ কোটি ইউরো!
**বাংলানিউজের ক্যামেরাবন্দি জুলিয়া রবার্টস ও জর্জ ক্লুনি
**দেখুন কানে কি না হয়!

** পর্দা উঠলো কান উৎসবের
** হেঁটেছি স্বপ্নের লাল গালিচায়
** শুরুর আগেই জমে উঠেছে লড়াই!
** বিচারকদের সামনে বাংলানিউজ
** সারারাত বৃষ্টির পর ‘ক্যাফে সোসাইটি’
** ইস্তাম্বুলে আইসক্রিম কিনলে ওয়াইফাই ফ্রি!
** ব্যাজের সঙ্গে ব্যাগভর্তি কাগজপত্র দিলেন আয়োজকরা
** কান উৎসবের পর্দা ওঠার অপেক্ষা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।