ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

বলিউডের বাপকা-বেটা

দিলশাদ জাহান এ্যানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১১
বলিউডের বাপকা-বেটা

বলিউড ফিল্মডোমে আজকের অনেক বড় তারকাই পূর্ব পুরুষের পথ ধরে এই ইন্ড্রাষ্টিতে পা রেখেছেন। আজকের প্রজন্মের অনেক সুপার স্টারের বাবাকেও একসময়  বলিউডের পর্দা কাঁপাতে দেখা গেছে।

কেউ কেউ এখনো সমান তালে অভিনয় করে যাচ্ছেন। আবার কোনো কোনো বাবা অভিনয় না করলেও ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরকম কিছু বাপকা-বেটার গল্প নিয়ে এই আয়োজন।

বলিউডের বিগ বি খ্যাত মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন যাকে বলিউডের জীবন্ত কিংবদন্তী বলা হয়। ১৯৬৯ এ ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিনয় শুরু করেন। এরপর তার অভিনীত একের পর এক ছবি হিট-সুপারহিট ব্যবসা করে। । জাদুগর, দোস্তানা, কালিয়া, শোলে, তুফান ইত্যাদি। আর বর্তমানেও পুরোদস্তুর অভিনয় করে যাচ্ছেন। আর ছেলে অভিষেক বচ্চনও বাবার পথ ধরেই হাঁটছেন যদিও বাবার মত সফলতা এখনো পাননি। তবে বাবা-ছেলে মিলে বেশকয়টি ছবি করেছেন। যার মধ্যে পা, ফালতু, শুটআউট, কাভি আলভিদা না কেহনা উল্লেখযোগ্য।
রাকেশ রোশন একাধারে প্রোযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা এবং ছেলে ঋত্বিক রোশন সফল অভিনেতা। বাবা রাকেশ রোশনের নির্মিত ‘কাহো না পেয়ার হে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় ঋত্বিক রোশনের। প্রথম ছবি দিয়েই হিট হন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে অসাধারণ অভিনয় ও নাচে পারদর্শী এই হিরো সহজেই জায়গা করে নেন। এরপর বাপ-বেটার ম্যাজিক শুরু হয় বলিউডে এবং পর পর বাবার কিছু ছবিতে অভিনয় করেন । যার মধ্যে সুপারহিট ছবি হলো কই মিল গ্যায়া, কৃষ, ক্রেজী-৪ ইত্যাদি।

প্রায় ৬ দশক ধরে ঐতিহ্যবাহী কাপুর পরিবার বলিউডে রাজত্ব করে চলছে। ঋষি কাপুর ছিলেন তার সময়কার সুদর্শন ও হার্টথ্রুব হিরো। এই নীল চোখ ও গোলাপী ঠোঁটের হিরোর জন্য মেয়ে দর্শকরা পাগলপ্রায় ছিল। আর এখন ছেলে রনবীর কাপুর বলিউডের হার্টথ্রুব হিরো। বলিউডের সবাই বলেন তরুন বয়সের ঋষি কাপুরের কার্বন কপি হচ্ছে রনবীর কাপুর। সাভারিয়া ছবির মাধ্যমে রনবীর কাপুর বলিইডে পা রাখেন আর এছবিতে তার সাথে ছিল অনিল কাপুরের মেয়ে সোনম কাপুর।

বলিউড ইন্ডস্ট্রির বিখ্যাত লেখক, গীতিকার, সুরকার জাভেদ আখতার যার লেখা মানেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এবং তার ছেলে ফারহান আখতারও অভিনয় জগতে ভালোই জায়গা করে নিয়েছেন।

ইয়াশ চোপড়া ও আদিত্য চোপড়া বাপ-বেটা দুজনেই বলিউডের নামকড়া ও প্রতিষ্ঠিত ছবি নির্মাতা। বলিউডে কথিত আছে এ দুজন যা কিছুই নির্মাণ করেন তা স্বর্ণে পরিণত হয় । তাদের ডর, দিল তো পাগল হ্যায়, ভির-যারা ইত্যাদি ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য তারই প্রমাণ। ইয়াশরাজ প্রোযোজনা সংস্থা ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় ও সফল ছবি নির্মাণের কোম্পানি।
 
ধর্মেন্দ্র সত্তরের দশকে তিনি ছিলেন হার্টথ্রুব অভিনেতা আর বর্তমানে তার দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওল বলিউডের প্রতিষ্ঠিত আভিনেতা। তবে বড় ছেলে সানি দেওল বলিউডে বেশ সফল অভিনয় করেছেন।

কুনাল কাপুর হচ্ছেন বলিউডের আরেক অভিনেতা শশী কাপুরের ছেলে। কুনাল কাপুর ১৯৭২ সালে ইংরেজী ভাষায় নির্মিত ছবি “ সিদ্ধার্থ” দিয়ে অভিনয়ে আসেন।

জিতেন্দ্র একশটির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন আর ছেলে তুষার কাপুরও এখন অভিনয় করছেন। তার উল্লেখযোগ্য ছবি হলো মুঝে কুচ কেহনা হে, গোলমাল ইত্যাদি।

বিনোদ খান্না একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, রাজনীতিবিদ। তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ভিলেন চরিত্র দিয়ে এবং এখনো তিনি অভিনয় করে যাচ্ছেন। তার দুই ছেলে অক্ষয় খান্না, রাহুল খান্নাও অভিনয়ের সাথে জড়িত। অক্ষয় খান্নার কিছু হিট ছবি হল বর্ডার, দিল চাহতা হে, তাল ইত্যাদি।

প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা সঞ্জয় খান অনেক ব্যবসা সফল ছবিতে একসময় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাকিকত, এক ফুল দো মালি , নাগিন উল্লেখ্য। তিনি টেলিভিশনের ‘দি সোর্ড অব টিপু সূলতান’ নির্মাণ করেছিলেন। তার ছেলে জায়েদ খান এখন বলিউডের সফল হিরো।
 
আরেক সুদর্শন অভিনেতা ফারদিন খান হচ্ছেন বলিউডের এক সময়কার বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক ফিরোজ খানের ছেলে। ফারদিন খান ‘প্রেম আগান‘ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আসেন। তার সুপারহিট ছবির মধ্যে রয়েছে খুশি, শাদি নাম্বার ওয়ান, কিতনে দূর কিতনে পাস, নো এন্ট্রি, হেই বেবি ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময় ১৮১০, জুন ১৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।