ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

তারার ফুল

অর্ষার সঙ্গে কিছুক্ষণ

একই মুখ বারবার দেখতে পছন্দ করি না

খায়রুল বাসার নির্ঝর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪
একই মুখ বারবার দেখতে পছন্দ করি না নাজিয়া হক অর্ষা / ছবি : নূর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা কাজ করেন খুব অল্প। অবশ্য ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতা দিয়ে পরিচিতি পাওয়ার পর ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন সম্ভাবনাময়ী এই অভিনেত্রী।

চলচ্চিত্রে যুক্ত হলেও সেসব কাজ পিছিয়ে গেছে বারবার। বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন অর্ষা।

বাংলানিউজ : নাচ শিখছেন নাকি?
নাজিয়া হক অর্ষা : হ্যাঁ। মহুয়া নাচ। রওশন আরা নীপার ‘মহুয়া মঙ্গল’ নামে একটি চলচ্চিত্রের জন্যই আমাকে নাচ শিখতে হচ্ছে।

বাংলানিউজ : কার কাছে শিখছেন?
অর্ষা : মানিকগঞ্জে নরেন্দ্রনাথ সাহা নামে মহুয়াপালার একজন নৃত্যশিল্পী আছেন। তিনি এবং তার মেয়ে আমাকে শেখাচ্ছেন।

বাংলানিউজ : তারা কি ঢাকায় থাকেন?
অর্ষা : না, মানিকগঞ্জে। সপ্তাহে দু’দিন ঢাকা আসেন। গত চার মাস ধরে শিখছি। আমি অবশ্য নিয়মিত না। খুবই অনিয়মিত।

বাংলানিউজ : এই চার মাসে অগ্রগতি কেমন?
অর্ষা : কঠিন। ভীষণ কঠিন। যারা পারে না তাদের জন্য আরো কঠিন। এসবের জন্য সময় আর মনোযোগ ভীষণ দরকার। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বাংলানিউজ : আগে থেকে নাচ পারতেন?
অর্ষা : না। আমি কখনও নাচ পারতাম না। বিচ্ছিন্নভাবে শিখেছিলাম। কিন্তু তেমনভাবে চর্চা করা হয়নি।

বাংলানিউজ : ‘মহুলামঙ্গল’ ছবির দৃশ্যধারণ শুরু হওয়ার কথা ছিলো এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। পেছালো কেনো?
অর্ষা : এর গল্প মহুয়া পালা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা দরক‍ার ছিলো। তাছাড়া তাদের সংগীতের ধরণও আলাদা। আমরা সংগীতের পেছনে আলাদা সময় দিচ্ছি। ছবিটিতে প্রীতমদা [প্রীতম আহমেদ] আছেন। তিনি অনেকদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। ফিরে এসে পুরোদমে কাজে নেমেছেন। তাছাড়া সরকারি অনুদানের জন্যও অপেক্ষা ছিলো। এ বছর ছবিটি অনুদান পেয়েছে।

বাংলানিউজ : ২০১০ সালে ‘ফেরারি ফানুস’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ছবিটির কাজ বন্ধই হয়ে গেলো। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ‘মহুয়া মঙ্গল’-এর সম্ভাবনা নিয়ে বলুন।
অর্ষা : সম্ভাবনা কতটুকু জানিনা। তবে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। ‘মহুয়া মঙ্গল’-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাজে গতি আছে।

বাংলানিউজ : মনে হচ্ছে, অভিনয়ে আপনি এখন আগের চেয়ে নিয়মিত হচ্ছেন…
অর্ষা : না-না। আমি কখনও নিয়মিত না।

বাংলানিউজ : কারণ কী?
অর্ষা : নাটকে বেশিরভাগই পুরুষকেন্দ্রিক গল্প। সুতরাং নায়ককে সহযোগিতা করা ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারী অভিনয়শিল্পীদের তেমন ভূমিকা নেই। এই সময়ে মেয়েদেরকে প্রাধান্য দিয়ে গল্প ভাবা হয় খুব কম। সুতরাং ভালো গল্প খোঁজার কারণেই হয়তো কাজের সংখ্যা কম হয়। তাছাড়া চ্যানেল ঘোরালেই আমাকে দেখা যাক, সেটা চাই না। পর্দায় একই মুখ বারবার দেখতে পছন্দ করি না।

বাংলানিউজ : অভিনয় ছাড়া অন্যকিছুতে আগ্রহ আছে? নাটক লেখা অথবা পরিচালনা?
অর্ষা : পরিচালনার কাজ খুব ভালো বুঝি না। আলো ও সম্পাদনার বিষয় কিছুটা বুঝি। শট ডিভিশন করতে পারি। তবে পরিচালনা নিয়ে ভাবছি না। এ কাজের জন্য অনেক গুণী ব্যক্তিরা আছেন।

বাংলানিউজ : পড়াশোনা তো প্রায় শেষের দিকে। চাকরি করার ইচ্ছা আছে?
অর্ষা : যেহেতু আমার পড়াশোনার বিষয় পুষ্টিবিজ্ঞান, চাকরি না করলেও পুষ্টিবিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা আছে।

বাংলাদেশ সময় : ১২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।