ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

আমাকে ব্ল্যাকমেইল ও হয়রানি করার জন্যই এই মামলা : মমতাজ

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১১
আমাকে ব্ল্যাকমেইল ও হয়রানি করার জন্যই এই মামলা : মমতাজ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা একটি প্রতারণা মামলায় শিল্পীকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়।

এই মামলা এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে বাংলানিউজ কথা বলে মমতাজের সঙ্গে।

কলকাতায় বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক শক্তিশংকর বাগচী বাদী হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ তুলেছেন যে, ২০০৮ সালের ১১ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার পল্লীশ্রী কাবের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনার জন্য অগ্রিম নেওয়া সত্ত্বেও মমতাজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি। একসময় টিকিট কেটে অনুষ্ঠান দেখতে আসা উত্তেজিত জনতা প্যান্ডেল ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তার কয়েক লাখ টাকা তিপূরণ দিতে হয়। আদালতের কাছে প্রতিকার চেয়ে শক্তিশংকর বাগচী ২০ লাখ রুপির প্রতারণার মামলা করেন।

এই মামলা প্রসঙ্গে মমতাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। আমাকে ব্ল্যাকমেইল ও হয়রানি করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। আমি আইনগতভাবে এই মামলার জবাব দেব। অগ্রিম নেয়া সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার কারণ জানতে  চাইলে মমতাজ বলেন, আমার শিল্পীজীবনে এরকম ঘটনা খুব কমই ঘটেছে। তবে শিল্পীরাও তো মানুষ। তারাও অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। অনেক আয়োজক সেটা মনে রাখেন না। অসুস্থতার কারণে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারাটা একটা দুর্ঘটনা। এ ক্ষেত্রে আয়োজকদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়া প্রতিটি শিল্পীর নৈতিক দায়িত্ব। আমিও তাই করেছি। এর বেশি আমি কিছু বলতে চাই না। যা বলব আদালতেই বলব।

বর্তমানে কী নিয়ে আপনার ব্যস্ততা? উত্তরে মমতাজ বললেন, সংসদ অধিবেশনে যাচ্ছি। তাছাড়া মানিকগঞ্জের চু হাসপাতালটার কিছু উন্নয়ন কাজ নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে আছি। প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে ‘ভোট ফর সুন্দরবন’ ক্যাম্পেইনে কাজ করছি। এসব কাজের ভিড়েও গানবাজনা চালিয়ে যাচ্ছি।

শিল্পী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে আগামীতে কী কী ভূমিকা পালন করবেন বলে ভাবছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মমতাজ বলেন, আমার পরিচয় আমি একজন শিল্পী। শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। দেশের শিল্পী সমাজের পক্ষে আমি কাজ করতে চাই। আগামীতে দুস্থ শিল্পীদের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারিভাবে কিছু করা যায় কিনা তাই নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। অডিও পাইরেসি বন্ধের জন্য আরো কঠোর আইন প্রয়োগ করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছে আছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫৪০, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।