ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

ফটোগ্রাফি থেকে নাট্য নির্মাতা হলেন বান্নাহ

কামরুজ্জামান মিলু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৩
ফটোগ্রাফি থেকে নাট্য নির্মাতা হলেন বান্নাহ

যে কোনো কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করা বেশ দায়িত্বের কাজ। আর সেই পরিচালনার কাজটি যদি হয় নির্মাণের, তাহলে তো কোনো কথাই নেই।

গল্প ও চরিত্র অনুসারে ক্যামেরার সামনের প্রতিটি বিষয় দর্শকের জন্য নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে হয় একজন নির্মাতাকে। আজ গল্প শোনাবো এমনই এক নবীন নির্মাতার। যার পুরো নাম মাবরুর রশিদ বান্নাহ।

‘ফ্ল্যাশব্যাক’, ‘লাস্ট সিকুয়েন্স’, ‘দ্য ফরচুন’, ‘ওল্ড ডায়েরি’, ‘আইসক্রিম’, ‘ফায়ারফ্লাই’, ‘এক্লিপস’, ‘এলিয়েন ও রুম্পার গল্প’সহ বেশকিছু নাটক পরিচালনার মধ্য দিয়ে এরইমধ্যে দর্শকের নজর কেড়েছেন তিনি। কিন্তু এ কাজের হাতেখড়ি কিভাবে হলো। আসুন জানি।

‘তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। আমার মামা আমায় ছবি তোলার জন্য একটা ক্যামেরা উপহার দেন। এরপর আমি সেটা দিয়ে ছবি উঠানো শুরু করি। বলতে গেলে পরিবারের বাইরে প্রজাপতি, পাখির ছবি বেশি উঠানো শুরু করলাম। এক পর্যায়ে ছবি উঠানোর মোহে একটি পত্রিকায় প্রদায়ক হিসেবে কাজ করলাম বেশ কিছুদিন। এরপর ফ্রেমের প্রেমে পড়া শুরু, ২০০৮ সালে ইফতেখার আহমেদ ফাহমির সাথে সহকারি পরিচালনা হিসেবে কাজ শুরু করলাম। ’

ফাহমির সাথে তিনি ‘হাউসফুল’, ‘ফিফটি ফিফটি’সহ বেশ কিছু নাটকে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু নিজের নাটকের প্রথম পরিচালনা করেন ২০১১ সালে ডিসেম্বর মাসে। তবে তার নাটকের প্রথম প্রযোজক তার বাবা। নাটকের নাম ‘ফ্ল্যাশব্যাক’। এনটিভিতে প্রচারিত হওয়া এ নাটকটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।

এরপর আর থেমে থাকেননি তিনি। একের পর এক নির্মাণ করেন ‘এখানেই শেষ নয়’, ‘এলিয়েন ও রুম্পার গল্প-২’, ‘রিস্টার্ট’, ‘ইট ক্যান হ্যাপেন’, ‘তিন অধ্যায়’, ‘দ্য আর্টিস্ট’, ‘শেষ দৃশ্যের অপেক্ষায়’- এর মত নাটক।

নির্মাণ নিয়ে বান্নাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রত্যেক পরিচালকের আলাদা কিছু দর্শক রয়েছে। আমার টার্গেট এ সমাজের তরুণরা। আর এদের জীবনের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে নানা বিষয় আমার নাটকে খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে আমার বাবার বয়সী মানুষের জন্যও আমি নাটক নির্মাণ করেছি। এই যেমন ‘আইসক্রিম’ ও ‘ওল্ড ডায়েরি’। ’

গত দুই ঈদে তিনি ‘এলিয়েন ও রুম্পার গল্প’ সিরিজের দুটি নাটক দর্শককে উপহার দিয়েছেন। যেখানে বাংলাদেশে প্রথমবার কোনো নাটকে অত্যাধুনিক ভিএফএক্স প্রযুক্তি ও অ্যাকশন সায়েন্স ফিকশনের মেলাবন্ধন দেখা গেছে।

ঢাকায় জন্মনেয়া এ যুবকের বাবার নাম হারুন-আল-রশিদ। পেশায় ব্যাংকার। আর মা নাজমা ইসলাম। তিন ভাইয়ের সংসারে সবার বড় বান্নাহ। তবে পরিবারে তার নাটকের বড় একজন দর্শক তার বাবা। এ বিষয়ে বান্নাহ বলেন, ‘ আমার বাবা আমার প্রতিটি কাজ দেখেন। শুধু তাই না, তিনি নাটক দেখে সমালোচনাও করেন। আর এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। ’

আগামীতে কি চলচ্চিত্র পরিচালনা করবেন। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখন তো আমি টেলিভিশন ফিল্ম বানিয়ে হাত পাকাচ্ছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ও সময়-সুযোগ পেলে অবশ্যই সামনে বড় পর্দায় কাজ করতে চাই। ’

মামার দেয়া ক্যামেরা থেকে আজ বান্নাহ একজন নির্মাতা। নিত্যনতুন গল্প ও ফ্রেমিং ভাবনা  নিয়ে কাটে তার দিবা-রাত্রি। বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর দর্শকের জন্য তিনি সামনে আরো কিছু ভালো কাজ আমাদের উপহার দিবেন, এই কামনা রইল।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৩০ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩
এমকে/জিআর/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।