ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

টিএসসিতে সঙ্গীত সন্ধ্যায় সুরের মূর্ছনা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১১

ঢাকা: ‘হেথা হতে যাও পুরাতন হেথায় নতুনের খেলা আরম্ভ হইয়াছে’.... পুরনো বছরের সব গ্লানি মুছে নতুনের জয়গান আর তারুণ্যদীপ্ত একটি নতুন বছরের আগমন নগরবাসীকে এনে দিয়েছে একটু স্বস্তি।

শুক্রবার রাত থেকেই নতুন বছর উদযাপনে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা যেন উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিলো।

রাতভর নাচ-গান আর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছর উদযাপন করা হলেও নতুন বছরের নতুন সূর্য ওঠার পরও যেন এর রেশ কাটেনি।

রাতের বেলা যারা নতুন বছর উদযাপন করতে পারেনি শনিবার দুপুর থেকেই শীতের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন বিনোদন পিয়াসীরা। রাতে নতুন বছর উদযাপন না করতে পারার আক্ষেপ যেন তাদের আরও উদ্যমী করে তুলছিলো।

শনিবার সন্ধ্যায় টিএসসির সড়কদ্বীপে সমগীতের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও পুরো সম্মেলন যেন সাজানো হয়েছিলো সংস্কৃতির চাদরে।

সড়ক দ্বীপের আধো আলো আধো ছায়া পরিবেশ, তার মাঝে বর্ণিল সাজ-সজ্জায় গোটা টিএসসিতে যেন উৎসবের আমেজ ঠিকরে পড়ছিলো।

সম্মেলনে অমল আকাশকে সভাপতি এবং মুসা কলিম মুকুলকে সাধারণ সম্পাদক করে সমগীতের  নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপরই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো সাংস্কৃতিক আয়োজন।

ঐকতান থিয়েটারের শিল্পীদের সমবেত নৃত্য দর্শকদের কৌতুহল বাড়িয়ে দেয়। এরপর পরিবেশিত হয় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কয়লা খনি রক্ষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সমগীতের শিল্পীদের ব্যাতিক্রমী আয়োজন।

আবেগঘন কন্ঠে কোরিওগ্রাফির অপূর্ব সমন্বয়ে রচিত গানের মাধ্যমে উপস্থিত সকলের মাঝে দেশপ্রেমের নাড়া দেয় গানটি।

এরপরে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ঢাকা শাখা সমগীতের শিল্পীরা দলগত সঙ্গীত পরিবেশন করে মাতিয়ে রাখেন উপস্থিত হাজারো দর্শককে।

চারণ, সৃজন, চিৎকার ও লীলা এই চারটি দলের দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পরে অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন কফিল আহমেদ ও কৃষ্ণকলি ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।