ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

টাইম-সেরা বছরের দশ অ্যালবাম

রবাব রসাঁ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১০
টাইম-সেরা বছরের দশ অ্যালবাম

সেরা দশ চলচ্চিত্রের মতো ২০১০ সালের সেরা দশটি অ্যলবাম নিবার্চন করেছে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন। অ্যালবামে গানগুলোর ব্যঞ্জনা, পরিবেশনা, ব্যাক্তি ও সমাজজীবনে এসবের প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে সেরা দশটি অ্যালবামের তালিকা।

‘টাইম’ অবলম্বনে লেখাটি তৈরি করেছেন রবাব রসাঁ

মাই বিউটিফুল ডার্ক টুইস্টেড ফ্যান্টাসি
আমেরিকার হিপ-হপ ও র‌্যাপ শিল্পী এবং সঙ্গীত প্রযোজক কেনজে ওমরাই ওয়েস্টের পঞ্চম স্টুডিও অ্যালবাম ‘মাই বিউটিফুল ডার্ক টুইস্টেড ফ্যান্টাসি’ প্রকাশিত হয় ২২ নভেম্বর।

প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকায় অ্যালবামটি বিক্রি হয় প্রায় পাঁচ লাখ কপি। এই অ্যালবামটিকে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন এ বছরের সেরা অ্যালবামের তালিকায় শীর্ষে রেখেছে।

টাইমের ভাষায়, ‘এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়, অন্তত আগামী ছয় মাস আপনি আমেরিকার প্রতিটি পানশালা ও ড্যান্স পার্টিতে এই অ্যালবামটি বাজাতে শুনবেন। ’ সঙ্গীত সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পাশাপাশি ওয়েস্ট ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে তার গায়কীর জন্য।

দ্য সাবার্বস
কানাডার ইনডিরক (ইন্ডিপেনডেন্ট রক) পরিবেশনকারী সঙ্গীতদল আর্কেড ফায়ারের তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম ‘দ্য সাবার্বস’ আমেরিকায় প্রকাশিত হয় ২ আগস্ট। সঙ্গীতদলটি সাত-সাতবার ভাঙলেও এর শিল্পীদের মনোবল যে ভাঙেনি তার প্রমাণ বর্তমান অ্যালবামটি। প্রেম-ভালোবাসার সুখ-দুঃখকে উপজীব্য করে তৈরি গানগুলো এমনিভাবে পরিবেশিত হয়েছে, যা এই অ্যালবামটিকে শাশ্বত করে তুলেছে।

দিস ইজ হ্যাপেনিং
আমেরিকার নেতৃস্থানীয় সঙ্গীত বিশারদ, গীতিকার এবং প্রযোজক জেমস মারফির সঙ্গীত প্রকল্প এলসিডি সাউন্ডসিস্টেমের ব্যানারে ১৭ মে ব্রিটেনে এবং ১৮ মে আমেরিকায় প্রকাশিত হয় ‘দিস ইজ হ্যাপেনিং’ অ্যালবামটি। নাচের প্রতি নিরাসক্ত মানুষদের জন্য তিনি তৈরি করেন নাচের গান। তবে ড্যান্স-পাঙ্ক ঘরানার এই অ্যালবামটির গানগুলোতে আছে বিষাদ, নিঃসঙ্গতা আর দুঃখবোধের জয়জয়কার।

হাই ভায়োলেট
আমেরিকার ইন্ডিরক এবং পোস্ট পাঙ্ক পরিবেশনকারী সঙ্গীতদল দ্য ন্যাশনাল-এর পঞ্চম স্টুডিও অ্যালবাম ‘হাই ভায়োলেট’। কান্তিকর চাকরির কষ্ট, অর্থঋণ, প্রেমের ব্যর্থতা, সর্বোপরি জীবনের বিভিন্ন বিরক্তিকর বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই অ্যালবামটিতে। এটি ইউরোপে প্রকাশিত হয় ১০ মে আর আমেরিকায় প্রকাশিত হয় এর পরদিন।

থ্যাঙ্ক মি লেটার
কানাডার র‌্যাপ গায়ক অবেরি ড্রেইক গ্র্যাহাম বা ড্রেইকের প্রথম অ্যালবাম ‘থ্যাঙ্ক মি লেটার’-এর প্রাণভোমরা হচ্ছে তার শিল্পীখ্যাতি। তিনি হাই পপ, পপ এবং আরএনবি ধরনের গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। লেডি গাগার মাংসের পোশাক বদলাতে যে সময় লাগে, তার চেয়েও দ্রুত সময়ে এই শিল্পীকে তার গানগুলো ইন্টারনেটে ছাড়ার সাথে সাথে রেকর্ডিংয়ের জন্য লিল ওয়েইনের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় ১৫ জুন।

এইজ অব এডজ
আমেরিকার বিশিষ্ট গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুফজান স্টিভেন্স তার নতুন অ্যালবাম ‘এইজ অব এডজ’-এ এত ঘটনার অবতারণা করেছেন যে, বলা যায় এই অ্যলবামটিতে গানের বদলে শুধু শব্দের পরিবেশনা হয়েছে। তবে ১২ অক্টোবর প্রকাশিত এই অ্যালবামটির খ্যাতি এখানেই যে, এতে শব্দের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। শিল্পীর ভাষায়, ‘অ্যালবামের গানগুলো ভাবানুভূতির দ্বারা আবিষ্ট। ’

ব্রাদার্স
আমরা সঙ্গীতের এমন একটি যুগে বসবাস করছি যেখানে পরিভাষার ভারে সবাই ভারাক্রান্ত। কী নেই আজ সঙ্গীতে- ড্যান্স-র‌্যাপ, গ্যারাজ-ফাঙ্ক, ইলেকট্রো-পপ! আমেরিকার ড্যান আওয়েরবাখ ও প্যাট্রিক কার্নি মিলে গড়ে তুলেছেন ব্লুজ-রক ব্যান্ড ‘দ্য ব্লাক কিজ’। তাদের ষষ্ঠ অ্যালবাম ‘ব্রাদার্স’ প্রকাশিত হয় ১৮ মে।

এই অ্যালবামটিতে তারা পরিবেশন করেছেন অমিশ্রিত রক-এন-রোল। বিশেষ করে ‘টাইটেন আপ’ এবং ‘দ্য ওনলি ওয়ান’ শিরোনামের গান দুটি এত বেদনাময় যে, শোনার সময় আপনি বিয়ার এবং সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ নাকে পাবেন।

অড ব্লাড
আমেরিকার এক্সপেরিমেন্টাল রক ব্যান্ড ইয়াসেয়ার তাদের এই দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম ‘অড ব্লাড’-এ রক, বিজার এবং পারকাশনের ব্যাপক ব্যবহার করেছে। কিছু কিছু গান আপনাকে দোলাবে বটে, আবার কিছু কিছু গান ঠিক উল্টো। আপনাকে চুপচাপ বসিয়ে রাখবে। তবে শ্রোতাদের মাঝে অ্যালবামটি প্রভাব ফেলেছে। এই অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় ৮ ফেব্রুয়ারি।

স্যার লুসিয়াস লেফট ফুট : দ্য সান অব চিকো ডাস্টি
বিগ বয় নামে খ্যাত আমেরিকার র‌্যাপ গায়ক আঁতোয়াঁ আদ্রেঁ পাতোঁ তার প্রথম অ্যালবামের নাম দিয়েছেন ‘স্যার লুসিয়াস লেফট ফুট: দ্য সান অব চিকো ডাস্টি’। এই অ্যালবামের গানগুলোতে তিনি বিট, র‌্যাপ আর বন্দনাগীতির মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। রক গানেরও প্রভাব রয়েছে শিল্পীর ভেতর। তিনি গানগুলো এত দ্রুত লয়ে গেয়েছেন যে শুনলে মনে হবে তিনি দম নেওয়ার ফুসরত পাননি। অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছে ৫ জুলাই।

টিন ড্রিম
বিচ হাউস ব্যান্ডের তৃতীয় অ্যালবাম ‘টিন ড্রিম’ সাজানো হয়েছে বিভিন্ন মেজাজের মজাদার পপ গানে। ড্রিম পপ গোষ্ঠীর এই গানগুলো শুনলে মনে হবে যেন হেমলক খেয়ে শুয়ে পড়ি, চেয়ে চেয়ে দেখি আকাশের ভাসমান মেঘগুলো। আসলে গানগুলো একা একা শোনার জন্য বেশ উপযোগী। অ্যালবাটি বের হয়েছিল ২৬ জানুয়ারি।

বাংলাদেশ সময় ১৯৫০, ডিসেম্বর ২৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad