ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

ফজলুল হক পুরস্কার পেলেন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম সারওয়ার

কামেরুজ্জামান মিলু | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১২
ফজলুল হক পুরস্কার পেলেন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম সারওয়ার

চলচ্চিত্র পরিচালক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও খ্যাতিমান সাংবাদিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের হাতে তুলে দেওয়া হলো ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০১২।

৩ নভেম্বর শনিবার দুপরে রূপসী বাংলা হোটেলের বলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এ পুরস্কারের
সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও  সম্মানী হিসেবে ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।



অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফজলুল হক স্মৃতি কমিটির আহ্বায়ক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ জাহাঙ্গীর ও চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপিকা মৌসুমী।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মননাপত্র তুলে দেন বিশিষ্ট কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন, সৈয়দ শামসুল হক ও মুহম্মদ জাহ‍াঙ্গীর।

পুরস্কার গ্রহণের পর নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এবং সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার নিজেদের অনুভূতির কথা জানান।

নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেন, “আমাকে সম্মানিত করায় এই কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই। একজন সৃষ্টিশীল মানুষ ছিলেন ফজলুল হক। তার সম্পাদিত ‘সিনেমা’ পত্রিকাটি আবার প্রকাশ করা হবে শুনে ভালো লাগছে। এক অসাধারণ পত্রিকা ছিল ‘সিনেমা’। অ‍ার বর্তমান সময়ে একটি ভালো পত্রিকা জরুরি হয়ে পড়েছে। ”

গোলাম সারওয়ার নিজেদের অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, “পুরস্কারের কথা আমি যখন জানলাম, তখন অনেকটা অবাক হলাম। কারণ `৭০ দশকের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা এবং চলচ্চিত্রের সাথে নানাভাবে সংযুক্তির কথা ভুলেই যেতে বসেছিলাম। আজ ফজলুল হকের স্বপ্ন পূরণ করছেন ছেলে ফরিদুর রেজা সাগর। আমার কাছে এ পুরস্কার স্বতন্ত্র হয়ে থাকবে। ”

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রয়াত ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ফজলুল হক স্মৃতি কমিটি প্রতি বছর দু’জন ব্যক্তিত্বকে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রয়াত ফজলুল হকের বন্ধু সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বলেন, “ফজলুল হকের স্বপ্ন ছিল হলিউডের আদলে কোনো নদীর ধারে একটি সিনেমা স্পট তৈরি করা। তিনি সেই সিনেমা স্পটের নাম রেখেছিলেন ‘গ্রিনউড’। এই কমিটির কাছে আমার আহ্বান শিগগিরই যেন তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুবার্তাটি পাই। ”

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন আলী ইমাম, চাষী নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মোঃ হান্নান, কবি বেলাল চৌধুরী, ফজলুল হকের ভাই ড. ফজলুল করিম, ফজলুল হক পরিবারের সদস্য মুকিত মজুমদার বাবু, জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, কেকা ফেরওদৌসী, কণা রেজা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ফজলুল হকের জীবন ও কর্ম নিয়ে শহিদুল আলম সাচ্চু নির্মিত ভিডিওচিত্র ‘সম্মুখযাত্রী ফজলুল হক’ প্রদর্শন করা হয়।
 
এ দেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ছিলেন প্রয়াত ফজলুল হক। দেশের  প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক এবং বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালক ছিলেন তিনি। ফজলুল হকের জন্ম ১৯৩০ সালে বগুড়ার এক স্বনামধন্য পরিবারে। তিনি ১৯৯০ সালের  কলকাতায় অবস্থানকালে ২৬ অক্টোবর মারা যান। প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। তার স্ত্রী প্রখ্যাত কথাস‍াহিত্যিক রাবেয়া খাতুন এই পুরস্কারের প্রবর্তন করেন।

সম্প্রতি ‘ফজলুল হক ইনস্টিটিউট অব মিডিয়া স্টাডিজ’ নামের একটি ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করেছে। যার পরিচালনায় রয়েছেন সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী।

উল্লেখ্য, এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন- সাইদুল আনাম টুটুল, ফজল শাহাবুদ্দিন, চাষী নজরুল ইসলাম, আহমদ জামান চৌধুরী, হুমায়ূন আহমেদ, রফিকুজ্জামান, সুভাষ দত্ত, হীরেন দে, গোলাম রব্বানী বিপ্লব, আবদুর রহমান, আমজাদ হোসেন, সৈয়দ শামসুল হক, মোরশেদুল ইসলাম, চিন্ময় মুৎসুদ্দী, ই আর খান ও অনুপম হায়াৎ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১২
এজে; সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected] 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।