ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

বিনোদন

সময় এখন মিলার

বিপুল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:১০, জুলাই ২, ২০১০
সময় এখন মিলার

বিশ্বকাপের জোয়ারে ভাসছে বিশ্ব, বাংলাদেশেও লেগেছে সেই দোলা। ল্যাটিন পপ সেনসশন শাকিরার মতোই দেশে দেশে সেরা সব শিল্পীরা সুরে সুরে গাইছেন গান।

বসে থাকবেন কেনো বাংলাদেশের শিল্পীরা? অনেকেই গলা ছেড়ে গান গাইলেও সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন একজন। তিনি এই সময়ের মিউজিক ক্রেজ মিলা।

আমি স্বাধীনতা/আমি অরাধিতা/আমি বিজয়ের গান/এতো কাছে আসা/এতো ভালোবাসা/মাতাল খেলার শত প্রাণ ... মিলার গাওয়া এই গানটি এখন শোনা যাচ্ছে এখানে-সেখানে। দেশের সব টিভি চ্যানেলেই প্রচার হচ্ছে এ গানের মিউজিক ভিডিও। এতে মিলার পারফরর্মেন্স নজর কেড়েছে লাখো দর্শকের। গানটিতে মিলার সহশিল্পী ছিলেন উপল। গানের কথাও লিখেছেন উপল। মিলা নিজেই করেছেন মিউজিক কম্পোজিশন।

কয়েকটি কনসার্টে গান গাওয়ার জন্য মিলা বর্তমানে আছেন আমেরিকা সফরে। ফিরবেন জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। আমেরিকা যাওয়ার আগে তার সাথে গানটি প্রসঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি খেলাধুলা খুব পছন্দ করি। ক্রিকেট-ফুটবল দুটোই আমার পছন্দের খেলা। বোঝার বয়স থেকে আমি বিশ্বকাপ ফুটবল দেখি। এ বছর বিশ্বকাপের শুরুতেই দেখলাম শাকিরার মনমাতানো গান ‘ওয়াকা ওয়াকা’। এর বাইরেও বিশ্বকাপ নিয়ে কেনানের গানটি গাওয়া হয়েছে ১৩টি ভাষায়। সব দেশে যখন বিশ্বকাপ উন্মাদনায় গান-বাজনা হচ্ছে , আমরা কেনো বসে থাকবো? উপলের সঙ্গে ভাবনাটা শেয়ার করলাম। গানটির কথা লিখে নিয়ে এলো সে সন্ধ্যায়। রাত ৮টার দিকে আমরা ঢুকলাম রেকর্ডিং স্টুডিওতে। একরাতেই তৈরি করে ফেললাম। স্টুডিও থেকে বের হতে হতে সকাল ৮টা। সেদিনই বেলা দশটায় এর ভিডিও শ্যুট করতে হয়। অর্থাৎ খুব অল্প সময়ের মধ্যে মিলাকে গানটির মিউজিক কম্পোজিশন করতে হয়। ভিডিওর কাজটিও করতে হয়েছে দ্রুততম সময়ে। এর মধ্যেই রেজাণ্ট যা পেয়েছেন তাতে মিলা খুবই সন্তুষ্ট।

আমেরিকার চারটি অঙ্গরাজ্যের কনসার্টে গান গাইতে যাওয়ার আগে তিনি আরো জানালেন, দেশে ফিরে নতুন অ্যালবামের কাজে হাতে দেবেন। মিলার নতুন এই অ্যালবামটি আসছে ঈদে মুক্তি দেয়ার দেয়ার ইচ্ছে আছে।

Mila Islam

বাংলাদেশের এই সময়ের পপ সেনসেশন মিলার পুরো নাম মিলা হোসেন। বাবা শাহেদ ইসলাম ছিলেন সেনাবাহিনীর অফিসার। মা নজরুল সঙ্গীতশিল্পী স্বপ্না ইসলাম। মায়ের কাছেই মাত্র তিন বছর বয়সে গানে হাতেখড়ি। একটু বড় হলে ওস্তাদের কাছে কাসিকে তালিম নেয়া শুরু । এসএসসি পাসের পর মিলা সঙ্গীতে ক্যারিয়ার গড়বেন বলে ঠিক করেন।   কাসিক আর নজরুল সঙ্গীত শিল্পী হলেও মিলা এ সময় থেকে ওয়েস্টার্ন পপ, রক আর হিপহপ বেছে নেন। ২০০৬ সালে বের হয় তার প্রথম অ্যালবাম ফেলা আসা। প্রথম অ্যালবামটিই তাকে নিয়ে আসে আলোচনায়। পাশাপাশি শুরু হয় স্টেজ পারফর্মেন্স। মিউজিশিয়ন ফুয়াদের কম্পোজিশনে মিলার দ্বিতীয় অ্যালবাম চ্যাপ্টার-টু বের হয় পরের বছর। জি-সিরিজ থেকে বের হওয়া এ অ্যালবামটি ঝড় তোলে অডিও জগতে। ‘রূপবানে নাচে কোমড় দোলাইয়া’ আর ‘বাপুরাম সাপুড়ে’ গান দুটো তাকে এনে দেয় তুমুল জনপ্রিয়তা। স্টেজ পারফরর্মেন্সে এ দুটি গান নিয়ে মিলা যোগ করেন নতুন মাত্রা। দেশ থেকে দেশান্তরের কনসার্টে বাড়তে থাকে তার চাহিদা। মাত্র দু বছরের মধ্যেই ভারত, জাপান, দুবাই, জর্ডান, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডাসহ নানা দেশের কনসার্টে মিলা পারফর্ম করেন।
মিলার সর্বশেষ অ্যালবাম রি-ডিফাইন্ড বের হয় গত বছর। এই অ্যালবামটির বাণিজ্যিক সাফল্যও উল্লেখ করার মতো। আগামী ঈদকে সামনে রেখে নতুন একটি সলো অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন তিনি।

মিলার কাছে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে হেসে বললেন, দর্শক- শ্রোতার মাঝে গানের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চাই আর চাই সবার ভালোবাসা। এ ছাড়া বলার মতো আর কোনো পরিকল্পনা নেই।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৮১০, জুলাই ০২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।