ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

বিনোদন

‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু চলচ্চিত্র উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখতে পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি’ 

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু চলচ্চিত্র উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখতে পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি’ 

ঢাকা: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ১৬তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে প্রতি বছরের মতো এবারো চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে ১৬তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২৩।

 

শিশু-কিশোরদের এই প্রাণের উৎসব আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার এই তিন দিন শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি।  

সভাপতিত্ব করবেন চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ও সাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।  

উদ্বোধনী পর্ব শেষে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ (বাংলাদেশ) চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে।

এবারের উৎসব প্রসঙ্গে জানাতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  

এতে বক্তব্য রাখেন, চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুন্নী, অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, উৎসব কর্মকর্তা মুঈদ হাসান তড়িৎ।  

সাংবাদিকদের কাছে উৎসবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উৎসব পরিচালক শাহরিয়ার আল মামুন।

সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এবার উৎসব সাত দিনের পরিবর্তে তিন দিন করতে হচ্ছে উৎসব। সরকারি যে সহযোগিতা করা হত এবার তা দেওয়া হচ্ছে না। স্কয়ার  টয়লেট্রিজের সহায়তার কারণে তিন দিনের উৎসব করা সম্ভব হচ্ছে।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, সম্ভবত, এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। এক বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা খুব প্রয়োজন।

মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ছোটরাই ছোটদের জন্য এ উৎসব আয়োজন করে থাকে। উৎসবে শিশুদের প্রাণের স্পর্শে আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো উৎসব প্রাঙ্গণ।

ইয়াসমিন হক বলেন, শিশুর মানস বিকাশে এ ধরনের আয়োজনের বিকল্প নেই। ক্লাসরুম বাচ্চাকে যা শেখাতে পারে না। এ ধরনের সংগঠনে যুক্ত থেকে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে পারে।

শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, ও সন্ধ্যা ৬টায়, মোট ৩টি প্রদর্শনী হবে।  

এবারের উৎসবে ঢাকায় ২টি ভেন্যু, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে  বাংলাদেশ ছাড়াও আরো ৩৯টি দেশের ১০১টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।  

প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু- কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সিনেমা দেখার জন্য কোনো ধরনের প্রবেশমূল্য নেই।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগটি। এই বিভাগে এবার ১৭টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, ৩টি চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবে।  

বিশেষ চলচ্চিত্র বিভাগে ৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতা বিভাগে ৩৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল যার মধ্যে প্রদর্শিত হবে ১৫টি চলচ্চিত্র, পুরস্কার পাবে ২টি চলচ্চিত্র। আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে ২৭০০ এর বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, প্রদর্শিত হবে ৭৫টি চলচ্চিত্র। রয়েছে দুটি সেমিনার।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
এইচএমএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।