ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

জামায়াত সংশ্লিষ্ট কেউ নিবন্ধন চাইলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
জামায়াত সংশ্লিষ্ট কেউ নিবন্ধন চাইলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা

ঢাকা: আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নতুন নামে নিবন্ধন চাইলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর আইনে কোনো নির্দেশনা থাকলে পাঁচ কমিশনার বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।  

এর আগে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ৭১ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে জামায়াত সংশ্লিষ্টদের কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার দাবি জানায়।  

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রজন্ম একাত্তর স্মারক লিপি দিয়েছে গেছে। বিষয়টা পরিষ্কারভাবে জানা নেই। আগে দেখবো, জানবো তারপর বলতে পারবো। আমরা এটুকু জানি, আইনে নির্দিষ্ট শর্ত আছে। এ শর্তগুলো পূরণ করলেই কেবল কোনো দল নিবন্ধন পায়। জামায়াত অন্য আদলে আসছে কিনা, তা অগ্রিম বলা ঠিক হবে না। কমিশন মিটিয়ে ফরমালি না এলে বলা যাবে না। জামায়াতই আসছে এগুলো আসলে প্রমাণ হোক, তারপর আমরা পাঁচ কমিশনার বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

নিবন্ধনে শর্ত পূরণ করলে জামায়াত সংশ্লিষ্টদের নিবন্ধন পেতে বাধা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ দল আদালতের আদেশ অনুযায়ী। নিষিদ্ধ মানে নিবন্ধনটা বাতিল করা হয়েছে। যেহেতু নিবন্ধন নেই, নির্বাচনে তারা আসতে পারবে না। এখন নতুন করে তারা কীভাবে আসছে না আসছে এগুলো খতিয়ে না দেখে বলা যাবে না। এখন যেহতেু তাদের নিবন্ধনটা বাতিল হয়ে গেছে, যদি প্রমাণ হয় আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আইনের মধ্যে যদি থাকে, আর যদি না থাকে তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবো। অগ্রিম এলে এ বিষয়ে মন্তব্য করার জায়গা নেই।  

তিনি বলেন, এগুলো আইনের বিষয়, শর্ত পূরণের বিষয়, প্রমাণ করার বিষয়; যে আসলেই জামায়াতই আসলো অন্যভাবে। আগে প্রমাণ হোক তারপর আমরা পাঁচজনে বসে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে আইনের কথা যদি বলি জামায়াতের যেহেতু আদালতের আদেশে নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে, সেখানে নতুন করে জামায়াতকে দেওয়ার তো সুযোগ নেই।  

তিনি আরও বলেন, জামায়াত অন্য নামে আসছে কিনা এটা কিন্তু প্রমাণ সাপেক্ষ। বাংলাদেশে ডেভেলপমেন্ট পার্টি দরখাস্ত দাখিল করেছে, আর অন্যরা বলছেন যে, উনারা অন্য নামে দিয়েছেন সেটা তো প্রমাণের বিষয়। আগে যাচাই বাছাই হোক, তখন বলা যাবে। আমরা কেবল এ দল নয়, ৯৩টি পার্টির ব্যাপারেই যাচাই বাছাই যতখানি আইনি কাঠামো আছে পুরোটাই দেখবো। গঠনতন্ত্র যাচাই করেই নিবন্ধন দেওয়া হবে। একজন এসে দাঁড়াল আমরা একটা দল, তাই কী হবে নাকি। যাচাই-বাছাই করেই দেবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।