ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

নূরুল হুদা কমিশনের আমলনামা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
নূরুল হুদা কমিশনের আমলনামা

ঢাকা: পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নিলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ বছরের দায়িত্বকালে যতটা না সফলতা দেখিয়েছে তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে এই কমিশন।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইতিবাচক ইমেজের জন্ম দিলেও তা খোয়াতে বেশি দিন লাগেনি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়। নির্বাচনী সহিংসতায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও, সেই নির্বাচনকে ঘিরে ‘দিনের ভোট রাতে’ করার অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। কেবল নির্বাচন ঘিরে সমালোচনাই নয়, নিজেদের ভেতরেও মতাপার্থক্যের কারণে নানা সময়ে আলোচনার জন্ম দেয় নূরুল হুদা কমিশন। আর শেষ দিকে এসে জড়িয়ে পড়ে কাদা ছোড়াছুড়িতে।

শেষটাও ভালো হয়নি কমিশনের। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যেমন প্রশংসায় ভেসেছে কমিশন, তেমনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র ১২৫ জনের বেশি মানুষের অপমৃত্যু ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

দায়িত্বকালে বেশ কিছু আইনি সংস্কার, নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, প্রবাসে ভোটার কার্যক্রম, পরিচয়হীনদের এনআইডি সরবরাহ সহজীকরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ এনআইডি দেওয়ার মতো কাজে ইতিবাচক আলোচনার সৃষ্টি করেছে এই কমিশন।

জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনপ্রবর্তনকারী, বলেছিলেন সিইসি
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মাথায় রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, নারী নেত্রী ও গণমাধ্যমের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের আয়োজন করে নূরুল হুদা কমিশন। সেই সংলাপে সবগুলো দল অংশ নেয়। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের ওই বছরের ১৫ অক্টোবর সূচনা বক্তব্যে সিইসি বলেন—“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৩৯ বছর পূর্বে অত্যন্ত দৃঢতার সাথে ৭৭ সালে বিএনপি গঠন করেন। সেই দল ডান, বাম, মধ্যপন্থি সব মতাদর্শের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে একত্র করে, তার মধ্য দিয়েই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। ” ওইদিন বিএনপির নেতৃবৃন্দকেও বেশ ‘আশাবাদী’ হতে দেখা যায়।

ধারাবাহিক সংলাপের ভিত্তিতে প্রাপ্ত সুপারিশগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে কমিশন। একটি নিজেদের এখতিয়ারের বিষয় হিসেবে আমলে নেয়, অন্যটি সরকারের বিষয় হিসেবে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়।

কুসিক ও রসিক নির্বাচন
দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাসের মাথায় ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও দশ মাসের মাথায় ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচন করে এই কমিশন। নির্বাচনী সংহিসতা, কারচুপি ও অনিয়মের কোনো অভিযোগ ছাড়াই ভোট সম্পন্ন হয়। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় আনার পক্ষে এটাও একটা কারণ হিসেবে ধরা দেয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচন
দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় দুই বছরের মাথায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে কমিশন। এতে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত সবগুলো দলই অংশ নেয়। নির্বাচনে সহিংসতায় কেউ মারা না গেলেও ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপির অভিযোগ ওঠে। দিনের ভোট রাতে হয়—কথাটির প্রচলনও শুরু হয়, সেই থেকে। নির্বাচনে বিএনপি ছয়টি আসন পায়। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পায় ২৫৭টি আসন। যার ফলে নির্বাচনী কারচুপির সন্দেহটি আরও বাড়ে। মূলত এরপর থেকেই বিএনপি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ এবং অনাস্থা জানাতে থাকে। আর ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে নূরুল হুদা কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেয় দলটি।

আইন সংস্কার
পাঁচ বছরের দায়িত্বকালে নূরুল হুদা কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন ও বাংলায় রূপান্তরের কাজে হাত দিলেও সংশোধন করতে পারেনি। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনটি বাংলায় রূপান্তর করতে পেরেছে। এছাড়া রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য পৃথক একটি আইন প্রণয়ের উদ্যোগ নেয়। তবে আইনি সংস্কারের ক্ষেত্রে উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও, তা আধরা রেখেই বিদায় নিল নূরুল হুদা কমিশন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বড় আকারে সম্পন্ন হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও সংহিসতার সৃষ্টি হয়।

২০১৯ সালের ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ভোটের ফলাফল নিয়ে কর্মকর্তারা ফেরার পথে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারের মুখে পড়েন। এতে ৮ জন নিহত হন। আহত হন ২৪ জন। নির্বাচনের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।

এছাড়া পৌরসভা নির্বাচনেও ব্যাপক অনিয়ম হয় ২০২০ সালে। অন্যদিকে ২০২১ সালের মার্চ থেকে শুরু ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদে সংহিসতার সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এই নির্বাচনে যেমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড তৈরি হয়, তেমনি সহিংসতায় নিহতের ঘটনাও বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করে। এছাড়া নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ তো রয়েছেই।

রাতের ভোট ঠেকাতে সকালে ব্যালট
নির্বাচনী অনিয়ম যে হয়, তার প্রমাণ খোদ ইসির উদ্যোগের মধ্যেই প্রমাণিত। নূরুল হুদা কমিশন দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভোটকেন্দ্রে সকাল বেলা ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। যোগাযোগের সমস্যা নেই এমন প্রায় সব ইউপিতে কারচুপি ঠেকাতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়। এ নিয়ে সিইসি নিজেই বলেছেন—দিনের ভোট রাতে হয়, এই কথাটি এখন প্রায়ই শোনা যায়।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে
কে এম নূরুল হুদা কমিশনের একটি অন্যতম সফল দিক হচ্ছে নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি। তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্বিতীয় বড় নির্বাচন অর্থাৎ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিলে ৬১ শতাংশ। তার এক বছর পরেই সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট করে, যা নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রথম ঘটনা। তার আগে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য আরপিও সংশোধন করে ইসি। হাতে নেয় ৩ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্প। এমনকি সংসদ নির্বাচনের আগেই ৮০ হাজার ইভিএম ক্রয় করে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে, যদিও ব্যাপক বিরোধিতা করে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। পরবর্তীতে সংসদ নির্বাচনে সীমিত আকারেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সংসদ নির্বাচনের পরপরই সিইসি ঘোষণা দেন সব নির্বাচনেই ইভিএম ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করা হবে। যার ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় ভোটযন্ত্রটি। ভোট পড়ার হার ছিল ৬৯ শতাংশ।

এদিকে আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে ভোটে ধীরগতি কমাতে এবং অধিকতর কারিগরি উন্নয়নে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে দেয় ইসি। সেই কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে হ্যাকারদের মাঝে ইভিএম উন্মুক্ত করে দিয়ে সমস্যা খোঁজার। নতুন কমিশন নিয়োগ হলে প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। বর্তমানে ইসির কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে।

প্রবাসীদের এনআইডি
মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ পাঁচটি দেশে লোকবল পাঠিয়ে ভোটের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ২০১৯ সালে উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বাঁধ সাধে করোনা মহামারি। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুমতি না পাওয়ায় কার্যক্রমটি ঝুলে আছে। ইসির পরিকল্পনা ছিল অনলাইনে প্রবাসে বসে নাগরিকরা আবেদন করবেন। সেই আবেদন স্থানীয় উপজেলা/থানা কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিলে কার্ড ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। আর এই কার্যক্রম পরবর্তীতে বাড়ানো হবে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশে। ইসির এ কার্যক্রম প্রবাসীদের ব্যাপক আশান্বিত করে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ এনআইডি
প্রথমবারের মতো নূরুল হুদা কমিশন কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য পৃথক নকশায় এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেয়। জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্টকার্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দুটি যোগ করে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি।

দ্বৈত ভোটার চিহ্নিতকরণ
দ্বৈত ভোটার চিহ্নিতকরণ, মৃত ভোটার জীবিত আর জীবিত ভোটারকে মৃত ভোটার বানিয়ে রাখার ভুল সংশোধনেও উদ্যোগী হয় কমিশন। এক্ষেত্রে কমিশন তার মেয়াদকালে অন্তত ১০ লাখ দ্বৈত ভোটার চিহ্নিত করে তাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়। এছাড়া ভোটারের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দেওয়া হয়।

পরিচয়হীনদের এনআইডি
অন্যদিকে পিতাহীন বা পরিচহীনদের জাতীয় পরিচয় সহজে সরবরাহ করার জন্যও উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করার সুপারিশও রেখে গেছে নূরুল হুদা কমিশন।

কাদা ছোড়াছুড়ি
পাঁচ বছর দায়িত্বকালে কমিশন বৈঠকে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এবং কমিশন বৈঠক বর্জন করে আলোচনায় ছিলেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আর সমালোচনায় রেখেছিলেন পুরো কমিশনকে। তবে ইউপি নির্বাচনে ‘নির্বাচন আইসিইউতে’, ‘গণতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে’ এমন মন্তব্য করলে তার কড়া জবাব দেন সিইসি নূরুল হুদা। তিনি বলেন—মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতি বছর ৩০-৪০ লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ কমিশন থেকে নেন। তিনি আইসিইউতে ছিলেন। কাজেই তিনি এসব কথা বলতে পারেন। পরবর্তীতে তার প্রতিক্রিয়ায় মাহবুব তালুকদার বলেন—সিইসি নিজেও ইসির থেকে চিকিৎসা বাবদ অর্থ নিয়েছেন। নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থানের নিমিত্ত সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে এহেন নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন।

এছাড়া সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং এক-এগারো সরকারের সময়কার সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদার কমিশনেরও এক হাত নেন নূরুল হুদা। তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোরগোল ফেলে দেন। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বদিউল আলম বলেন—আমাদের দুর্ভাগ্য একজন খলনায়ককে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক বেসামরিক আমলা কে এম নূরুল হুদাকে সিইসি; মাহবুব তালকুদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও সামরিক আমলা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সংবিধান অনুযায়ী, পাঁচ বছর দায়িত্ব শেষে তাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad