ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

কুমিল্লা সিটির ভোট করতে পারছে না নূরুল হুদা কমিশন 

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২
কুমিল্লা সিটির ভোট করতে পারছে না নূরুল হুদা কমিশন 

ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) নির্বাচন দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা আর পারছে না কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারণ নির্বাচন দেওয়ার মতো তাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি নির্বাচন করতে তফসিলের পর থেকে ন্যূনতম ৩৫ দিনের মতো সময় প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমান কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১৬ মের মধ্যে।

কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। এজন্য মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এক্ষেত্রে গত ১৬ নভেম্বর থেকে এ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, মেয়াদ পূর্তির আগেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা ভাবছেন। এজন্য করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখছেন তারা। তাই করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি বলেন, কুসিক নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে যদি প্রয়োজন হয় তফসিল দেওয়া হবে।

এদিকে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমিশন ভোট করতে না পারলেও তফসিল দেওয়ার সময় রয়েছে। এক্ষেত্রে বিদায় নেওয়ার শেষ মুহূর্তেও চাইলে তফসিল ঘোষণা করতে পারে।

নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কমিশন সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার কোনো নির্দেশনা দেননি। এমনকি নথিতেও কিছু উপস্থাপনের জন্য বলেননি।

বর্তমান কমিশন এই সিটি ভোটের তফসিল না দিলে নতুন কমিশনকে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তফসিল দিতে হবে। কেননা, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রোজা শুরু হবে। আর রোজায় কোনো নির্বাচন করা হয় না।

২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।

২০১১ সালে দু’টি পৌরসভাকে একীভূত করে গঠন করা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নামে নতুন একটি করপোরেশন। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
ইইউডি/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।