ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

বিএনপি-হেফাজতের সমর্থন পাওয়া মজিবর ম্যাজিক!

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
বিএনপি-হেফাজতের সমর্থন পাওয়া মজিবর ম্যাজিক! মো. মজিবর রহমান

মুন্সিগঞ্জ: গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মো. মজিবর রহমান।

ইউনিয়নটির ১১টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৬০৯ ভোটের মধ্যে তিনি ১০ হাজার ৪৫ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেইন মীর পেয়েছেন ১ হাজার ৮১৮ ভোট । ভোটের ব্যবধান ৮ হাজার ২২৭ ভোট। যা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

এত পার্থক্যের প্রধান কারণ বিষয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নৌকা প্রার্থী মজিবর রহমানের ব্যক্তিগত ইমেজ।  

এছাড়া রাজানগর ইউনিয়নটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে এলাকাটিতে স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষেত্রে মার্কা নয় বরং এলাকাভিত্তিক ব্যক্তিকেই সবাই মিলে সমর্থনের ইতিহাস পুরোনো। এবারের নির্বাচনেও একই চিত্র দেখা গেছে ইউনিয়নটিতে। তাছাড়া ইউনিয়নটিতে অবস্থিত দেশের অন্যতম দুই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া এমদাদিয়া সৈয়দপুর ও মধুপুর হালিমিয়া মাদরাসা। সাধারণত মাদরাসা দু’টি যাদের সমর্থন করা, তারাই নির্বাচনে জয়ী হয়। এবারও তাই ঘটেছে। নির্বাচনে বিএনপিসহ আলেমদের বিরাট অংশ প্রকাশ্যে নৌকার সমর্থন করায় এবং ভোট চাওয়ায় এ বিশাল বিজয় বলছে স্থানীয়রা।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মুন্সিগঞ্জ জেলার সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নাফিস বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দল যেহেতু নির্বাচনে আসেনি, তাই আমরা ভালো--মন্দের হিসেবে ব্যক্তি মজিবের জন্য কাজ করেছি। তাছাড়া আগের চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেনি, কোনো কাজও করেনি। যার জন্য বাধ্য হয়েই নৌকায় ভোট দিয়েছি।

নৌকার বিজয়ী প্রার্থী মজিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে আমি রাজানগর ইউনিয়নের পাঁচ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এ সময় আমি মানুষকে সেবা দিয়েছি। ফলে মানুষ আমাকে ভালোবাসে। যার ফল বিপুল ভোটে বিজয়।

সিরাজদীখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যক্তিগতভাবে মো. মজিবর রহমান ভালো মানুষ, আগেও একবার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। সুনামের সঙ্গে এলাকায় উন্নয়নের কাজ করেছেন। যার জন্য মানুষ তাকে ভোট দিয়েছে।  

এদিকে এসব ব্যাপারে কথা বলতে একাধিক বিএনপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

চতুর্থ ধাপের সিরাজদীখানে ১৪টি ইউপি নির্বাচনে সাতজন নৌকা, চারজন বিদ্রোহী ও দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad