ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

দুনিয়ায় শান্তি, আখিরাতে মুক্তি চাইলে হাতপাখায় ভোট দেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
দুনিয়ায় শান্তি, আখিরাতে মুক্তি চাইলে হাতপাখায় ভোট দেন

নারায়ণগঞ্জ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, রিকশাওয়ালারা ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে সরকারের ফান্ডে টাকা জমায়, আর দুর্নীতিবাজরা সে টাকা দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। আল্লাহ সৎ কাজে সহযোগিতা, আর অসৎ কাজের বিরোধিতা করতে বলেছেন।

তিনি বলেন, ভোট মানে শুধু সিল মারা নয়, ভোট অর্থ সহযোগিতা করা। ভোট মানে সাক্ষী দেওয়া, মতামত প্রকাশ করা। ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দেন, আব্রাহাম লিংকনের গণতন্ত্রের জন্য ধানের শীষে ভোট দেন। আর ইসলামী আন্দোলন বলছে, আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর আদর্শ যদি বাস্তবায়ন করতে, দুনিয়াতে শান্তি আর আখিরাতে মুক্তি চাইলে হাতপাখার প্রার্থী মাসুম বিল্লাহকে ভোট দিন।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জে হাতপাখার প্রার্থী মাসুম বিল্লাহর পক্ষে অনুষ্ঠিত পথসভায় একথা বলেন তিনি।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিএনপি যদিও নির্বাচনে আসেনি, কিন্তু তাদের কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার নৌকার প্রার্থী দিয়েছে। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাতপাখা নিয়ে নির্বাচন করছে। যারা গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চায় তারা বলে সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। সেখানে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। আমি আর উদাহরণ দিতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন করতে চায়। যার উদাহরণ আমাদের পাশের রাষ্ট্র ভারত। সেখানে মানবতা, সভ্যতা কোনটা আছে? বরং সেখানেও অশান্তি। এটা দুনিয়ার কথা।

ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো নীতি-আদর্শ আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না, এটা আল্লাহ বলেছেন। মোদী আলোচনায় আল্লাহর নাম উল্লেখ করে বলছিল, শান্তি যদি চাও, ইসলামের নীতি-আদর্শ ফলো করতে পার। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ জন মনীষীর নাম লিপিবদ্ধ করেছেন। সেখানে এক নম্বরে আমাদের নবী মোহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নাম।

তিনি বলেন, আমি যখন ২০০৩ সালে চরমোনাই ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছিলাম তখন হিন্দুরা আমাকে ভোট দেয়নি। তাদেরকে ভুল বোঝানো হয়েছিল যে আমি হুজুর। আমি চেয়ারম্যান হলে তাদের যে মূর্তি সব ভেঙে ফেলব। কিন্তু আমি নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পর হিন্দুরা বলেছে তারা ভুল করেছে। তারা এখন ঘরের দরজা খুলে পূজা করতে পারে। এবার হিন্দুরা মিষ্টি-ফল নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। আমি বললাম যে দেখ, এটাই হল ইসলাম, শান্তির প্রতীক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।