ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

গোবিন্দগঞ্জে পুনরায় ভোটের দাবিতে আধাবেলা হরতাল চলছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
গোবিন্দগঞ্জে পুনরায় ভোটের দাবিতে আধাবেলা হরতাল চলছে

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের সিংজানি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল বাতিলসহ কেন্দ্রটিতে পুণরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ডাকে আধাবেলা হরতাল চলছে।  

সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া হরতাল পালিত হচ্ছে মহিমাগঞ্জ বাজারসহ স্টেশন এলাকায়।

 চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।  

সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মহিমাগঞ্জ বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে হরতাল সমর্থকরা। মিছিল বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সাড়ে ১০ টায় মহিমাগঞ্জ চৌমাথা মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন হরতাল সমর্থকরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন, নৌকার প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সি, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কাদির (আনারস) ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগের আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম।

হরতাল চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে মহিমাগঞ্জ বাজারে কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলছে।  

আ.লীগের প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সির অভিযোগ, ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহিমাগঞ্জ ইউপির সিংজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রটির ঘোষিত ফলাফল বাতিল করাসহ পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে মহিমাগঞ্জে আধাবেলা হরতাল ডাকা হয়। হরতালে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মহিমাগঞ্জ ইউপির সর্বসাধারণ সমর্থন জানিয়ে হরতাল পালন করছেন।

এরআগে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর রাতেই গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিংজানি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম কাদির।  

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সিংজানি কেন্দ্রে আমার কোনো এজেন্টকে থাকতে দেওয়া হয়নি। সকাল ১০টার পর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোটগ্রহণে দায়িত্বরতদের সহায়তায় প্রভাব বিস্তার করে ব্যালট পেপারে সিল মারেন প্রতিপক্ষ প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানসহ তার লোকজন। এ কারণে কেন্দ্রটিতে আমার আনারস প্রতীকে অনেক কম ভোট দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করার কথাও জানান তিনি।  

চতুর্থ ধাপে মহিমাগঞ্জসহ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে বিছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে মহিমাগঞ্জ ইউপির নয়টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী চশমা প্রতিকের (আ.লীগের বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান ৭ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বে-সরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এদিকে, হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকেই মহিমাগঞ্জ এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করার কথা জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইজার উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।