ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

কোন সংঘর্ষের শঙ্কা নেই: এসপি জায়েদুল

মাহফুজুর রহমান পারভেজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
কোন সংঘর্ষের শঙ্কা নেই: এসপি জায়েদুল এসপি জায়েদুল

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বলেছেন, মানুষ যেন গুজবে কান না দেয়। কোথাও কোন সংঘর্ষের শঙ্কা বা থ্রেট নেই।

এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক আছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত আছে। কেউ ঝামেলার চেষ্টা করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। যতটুকু কঠোর প্রয়োজন পুলিশ হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের বিষয়ে বাংলানিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের ১৭ জন আনসার ও ৫ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা ও ৪ জন পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। এছাড়া সব ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবির টহল চলমান আছে। এর মধ্যে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নে অতিরিক্ত ২ প্লাটুন সদস্য রয়েছেন।

তিনি আরো জানান, তারপরও যদি কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটে বা ঘটানোর চেষ্টা হয় সেটি সামাল দেওয়া বা প্রতিহত করার মত পর্যাপ্ত শক্তি নিয়োজিত আছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কোন শঙ্কা নির্বাচনে নেই।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে, ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছেন পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।  

বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ভোটারদের উপস্থিতি এমনটাই প্রত্যাশা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের।

১৬ ইউপির মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৫ জন, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫১ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ১৫৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ৬ হাজার ৫৪৭ জন।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৬টি ইউপির মধ্যে ২টি ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৪টি ইউনিয়নে সকাল থেকে কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, আলীরটেক ও গোগনগর ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি রয়েছে বলে জানা গেছে।  

বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে কলাগাছিয়া ইউনিয়নেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছে। একই অবস্থা ধামগড় ও মদনপুর ইউনিয়নেও।  

রূপগঞ্জের ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউপিতে নৌকার প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বাকি ২টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা রয়েছেন অনড় অবস্থানে। যেকোনো মূল্যে জয় ছিনিয়ে আনতে প্রস্তুত তারা।

এদিকে কাশীপুর ও এনায়েতনগরে দুইজন করে প্রার্থী ছিলেন। নৌকার বিপরীতে থাকা ইসলামী আন্দোলনের দুইজন শেষ সময়ে ১০ নভেম্বর সরে এসেছেন ভোট থেকে। ফলে এখানে নৌকার প্রার্থীর জয় নিশ্চিত।

জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান জানান, বিশৃঙ্খলার কোন সুযোগ নেই। সে যেই দলের প্রার্থী বা লোকই হোক না কেন। কেউ ব্যালটে হাত দিতে এলেই গ্রেফতার করা হবে।

নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৭৬টি। ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৭ জন এবং নারী ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৩৪ জন।  নির্বাচনে ২ সহস্রাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।