ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

আ.লীগ প্রার্থীর সভায় অস্ত্র হাতে কে?

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২১
আ.লীগ প্রার্থীর সভায় অস্ত্র হাতে কে?

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচন অফিস থেকে এটিকে আচরণবিধি ভঙ্গ ও অবৈধ বললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তবে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মাকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান বলেছেন, এ ব্যাপারে আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাথুলি ইউপি নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলজার হোসেনের নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১ নম্বর কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলজার হোসেনের কর্মীসভায় গাংনীর ষোলটাকা গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান তার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন।

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সমাবেশে থাকা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও আতঙ্ক।

এ ঘটনায় গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল আজিজ বলছেন, এটি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ ও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে পুলিশ বিভাগ ব্যবস্থা নিতে পারেন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক।  

গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন গাংনী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবুও উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনী কর্মীসভার মঞ্চে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের  পাশেই আগ্নেয়াস্ত্র (শর্টগান) নিয়ে অতিথিদের সারিতে বসেছিলেন ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল হান্নান বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। অস্ত্রটি আমার নামে লাইসেন্স করা। এখানে অস্ত্র নিয়ে এলে কী সমস্যা হবে তা জানি না। আমি না বুঝেই এটা করেছি। তবে আমার আগ্নেয়াস্ত্র আমার সঙ্গেই ছিল। তাছাড়া আমি এসব নিয়মকানুন কিছুই জানি না।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন এমন তথ্য আমার জানা নেই। এ নির্বাচনে বৈধ আর্মস বা লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র কালেকশন করা হয়নি। ভিআইপিদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ আর্মস বহন করার এখতিয়ার আছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad