ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইউপি ভোটের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক বৃহস্পতিবার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২১
ইউপি ভোটের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক বৃহস্পতিবার 

ঢাকা: দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যলোচনা করতে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ভার্চ্যুয়াল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

এছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও ইসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা যুক্ত হবেন। বৈঠকে যুক্ত হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভাগীর কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা পাঠিয়েছে ইসি।

জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটে কেন্দ্র প্রতি মোতায়েন রাখা হবে পুলিশ, আনসারের ২২ জনের ফোর্স। এদের মধ্যে ১৫ জনের সঙ্গে থাকবে লাঠি। বাকিরা অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র পাহারা দেবেন। ভোটের আগে দুই দিন, ভোটের দিন ও পরের দিন; মোট চারদিনের জন্য তারা নিয়োজিত থাকবেন।

দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপিতে আগামী ১১ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ইতোমধ্যে ৮১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- দ্বিতীয় ধাপে ১১৫ উপজেলার ৮৪৬টি ইউপিতে ভোট হবে। এসব ইউপির মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৪ হাজার ৭৫ জন। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ৩ হাজার ৩১০ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৮১ জন।  

সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৯ হাজার ৪৯৮ জন। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে প্রতিদ্বন্দ্বি রয়েছেন ৯ হাজার ১৬১ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৭৬ জন।  

এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৩০ হাজার ৮৮৩জন প্রার্থী। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে রয়েছেন ২৮ হাজার ৭৪৭ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২০৩ জন প্রার্থী।  

গত ২০ জুন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ২০৪টি ইউপির মধ্যে ২৮ জন এবং ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১৬০ ইউপির মধ্যে ৪৫ জন চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রথম ধাপে ৭৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।  

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৭টি দল অংশ প্রার্থী দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদে ৮৩৮জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩৬৮ জন, জাতীয় পার্টি ১০৭ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি ৩ জন, কংগ্রেস ৭ জন, জাকের পার্টি ৪৯ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ২৬ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ৫ জন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ৩ জন, গণতন্ত্রী পার্টি ২ জন, বাসদ ২ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ৩ জন, খেলাফত মজলিশ ২ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৫ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ১ জন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল।  

এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যানে পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ২ হাজার ৬৫৫ জন প্রার্থী। সবমিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৪ হাজার ৭৫ জন।  ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ৩৬৯ ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। ২৮ নভেম্বর ১০০৩ ইউপির ভোট হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩ ২০২১
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।