ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সিরাজগঞ্জ-৬: ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২১
সিরাজগঞ্জ-৬: ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি নয়

ঢাকা: সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পূর্বানুমতি না নিয়ে বদলি না করার জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২ নভেম্বর এ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত সম্প্রতি জারি করা এক পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। পরিপত্রের কপি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৪৪ই অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে ৪৪ই অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কর্মকর্তাবৃন্দকে স্ব স্ব কর্মস্থল থেকে বদলি করা যাবে না।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের অবশ্য কর্তব্য।

নির্বাচনী সময়সূচি জারির পর কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩নং আইন) এর ৪(৩) ধারা অনুসারে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী স্বীয় চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে নিয়োজিত আছেন বলে বিবেচিত হবেন।

ওই আইনের ৪(২) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কতৃপক্ষ তাকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে কোনো দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে বাধা দিতে বা বিরত রাখতে পারবেন না।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১০ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২-১৪ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর ও প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর।

সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাসিবুর রহমান স্বপন গত ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ আসনে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনটি শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসন থেকে হাসিবুর রহমান দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে ১৯৯৮ সালে সংসদ সদস্য পদ হারান। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি শিল্প উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পরে পৌরসভার মেয়র হয়েছিলেন। দেশের ইতিহাসে একেবারে গ্রাম পর্যায়ের রাজনীতি থেকে উঠে এসে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারীদের মধ্যে তিনি একজন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২১
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।