ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

স্থানীয় নির্বাচন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুত থাকতে বললো ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
স্থানীয় নির্বাচন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুত থাকতে বললো ইসি

ঢাকা: চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন, পৌরসভা, নারায়ণঞ্জ সিটি করেপোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুত থাকতে বললো নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহিস্পতিবার (২৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন, পৌরসভা, নারায়ণঞ্জ সিটি করেপোরেশন নির্বাচন, কুমিল্লা-৭ আসনের উপ-নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বেশ কিছু উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। তাই এ সময় স্কুল খোলা হলে বা পরীক্ষা চললে কীভাবে ভোট নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটের উপযোগী যাতে থাকে এবং শিক্ষকদের যেন প্রস্তুত রাখা হয় সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেননা, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ নিয়োগ দেওয়া হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের।

ইউপি নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করতে অক্টোবর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভোটের জন্য তফসিল দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল হতে পারে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করোপরেশন নির্বাচনও করে ফেলবে কমিশন। কুমিল্লা-৭ আসনের ভোট সময়ের শেষে দিকে হতে পারে। কেননা, আসনটি সম্প্রতি শূন্য হয়েছে। কাজেই হাতে পর্যাপ্ত সময় রয়েছে।

কর্মকর্তা বলছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ আছে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এক্ষেত্রে যে নির্বাচনগুলোর সময়ের ভেতরে চলে এসেছে, সেগুলো সম্পন্ন করেই দায়িত্ব শেষ করতে চায় কমিশন।

ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ইতিমধ্যে শেষ করেছে ইসি। এখন বাকি পাঁচটি ধাপের ভোট সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া রয়েছে নয়টি পৌরসভা নির্বাচনও।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ভোটের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে জেলার করোনার পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হবে। কোনো জেলায় যদি করোনার পরিস্থিতি উন্নতি না হয়ে থাকবে, তবে সে জেলার নির্বাচন কিছুটা দেরিতে হবে। অর্থাৎ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এমন জেলাগুলোতে আগে নির্বাচন দেওয়া হবে।

যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে ঝুলে থাকা নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসা হয়েছিল। নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে স্থাপন করা হয়। শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত রাখার জন্য তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।