ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

বরিশালে ৫০ ইউপি নির্বাচনে যেকোনো বিষয়ে সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
বরিশালে ৫০ ইউপি নির্বাচনে যেকোনো বিষয়ে সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

বরিশাল: আগামী ২১ জুন (সোমবার) বরিশাল জেলার ৫০ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছানো শুরু হয়েছে।



প্রথমধাপের এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরিশালের ৯ উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন, বাবুগঞ্জের ৪, গৌরনদী ৭, বানারীপাড়া ৭, বাকেরগঞ্জে ১১, হিজলায় ৪, মেহেন্দিগঞ্জে ২, মুলাদীতে ৬ এবং উজিরপুরে ৬ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৫০ ইউনিয়নে ৪৭৪ ভোট কেন্দ্রের ২ হাজার ৯৬৮টি কক্ষে ৯ লাখ ২০ হাজার ৪৬৩ জন ভোটার ভোট দেবেন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৩০ এবং পুরুষ ভোটার ৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৩ জন।

বরিশাল জেলার সদর উপজেলার চরবাড়িয়া, মুলাদীর গাছুয়া, বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীর নগর এবং গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ২১ জুনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে সহিংসতা। বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর এমনকি প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। যদিও এর মধ্যেই সুষ্ঠু-সুন্দর ভোটের প্রত্যাশা করছেন ভোটাররা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কর্মকর্তারাও সুষ্ঠু-সুন্দর ভোটের ব্যাপারে আশাবাদী।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে ১৪টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতসীন দলের প্রার্থীরা। অন্যান্য ইউনিয়নেও জোরসোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। কিছু কিছু স্থানে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ইতোমধ্যে উজিরপুর, মুলাদী, মেহেন্দিগঞ্জ এবং বাবুগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, হুমকি-ধামকি প্রদান এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। তবে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন প্রার্থীরা।

যদিও ভোট সুষ্ঠভাবে গ্রহণে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেই কাজগুলো করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম।

এদিকে বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে যেকোনো বিষয়ে সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, পুলিশ এককভাবে বড় কোনো সিদ্ধান্তে যাবো না। জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা এবং আমাদের সুপারভাইজাররা মিলে যেকোন ঘটনায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবে। পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে এবং আশা করি সব চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

এদিকে ভোটের প্রাক্কালে ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান। শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং করেন ডিআইজি। এ সময় সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর ব্যতয় হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

উল্লেখ্য গোটা বরিশালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।