ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

৩৭১ ইউপি নির্বাচনের প্রচার শেষ ১৯ জুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২১
৩৭১ ইউপি নির্বাচনের প্রচার শেষ ১৯ জুন

ঢাকা: দেশের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচার শেষ হচ্ছে আগামী ১৯ জুন দিনগত রাত ১২টায়। এ সময়ের পর কোনো প্রার্থী বা সমর্থকের কেউ কোনো ধরেনর প্রচার চালাতে পারবেন না।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে প্রচার বন্ধ করতে হয়।

৩৭১ ইউপিতে ভোট শুরু হবে ২১ জুন সকাল ৮টায়। সে হিসেবে ৩২ ঘণ্টা আগে বলতে ১৯ জুন মধ্যরাত ১২টায় প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে।

এদিন ১১ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন ছাড়াও কয়েকটি স্থানীয় সরকারের উপ-নির্বাচনও আছে। সে ভোটের প্রচারের সময়ও শেষ হবে ১৯ জুন দিনগত  রাত ১২টায়।

গত ১১ এপ্রিল এসব নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দ্বৈবদুর্বিপাকের কারণ দেখিয়ে ৯০ দিন সময় নিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সে সময়ও শেষ হয়ে আসায় গত ৩ জুন পুনরায় ভোটের তারিখ দেয় ইসি। এক্ষেত্রে যে পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ হয়েছিল, সেখান থেকেই আবার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।

১৯ জুন দেশের ইউপিগুলোর প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণের তফসিল দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রচারের ক্ষেত্রে পথসভা এবং ঘরোয়া সভা ছাড়া যে কোনো প্রকার শোভাযাত্রা বা মিছিল-মশাল মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পথসভা বা ঘরোয়া সভা করতে হলেও স্থান এবং সময় উল্লেখ করে পুলিশ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা আগে অবহিত করতে হবে। আবার জনগণের চলাচলে অসুবিধা হয় এমন কোনো স্থানে পথসভা বা পথসভার জন্য মঞ্চ তৈরি করা যাবে না।

অন্যদিকে প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারের জন্য সরকারি সার্কিট হাউস, রেস্ট হাউস বা ডাকবাংলো ব্যবহার করতে বা অবস্থান করতে পারবেন না।

প্রার্থী তার সাদা-কালো পোস্টার বা লিফলেটে নিজের ছবি ও প্রতীক ব্যতিত অন্য কারো ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে দলীয় প্রার্থী হলে কেবল দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই মিছিলে নেতৃত্বদান বা প্রার্থনারত অবস্থার ছবি ব্যবহার করা যাবে না। পোস্টার, লিফলেট দেয়াল বা যানবাহনে লাগানো যাবে না, ঝুলিয়ে প্রচার চালানো যাবে। কোনো ক্রমেই প্লাস্টিক লেমিনেটেড পোস্টার, ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না।

প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। প্রতীকের আকার হতে হবে তিন মিটারের মধ্যে। প্রার্থীরা নির্বাচনী পথসভা বা প্রচারের কাজে কেবল একটি মাইক বা উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন দুপুর ২টা থেকে ৮টা পর্যন্ত।

নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার মোটরযান ব্যবহার করে মিছিল বা শোডাউন করে প্রচারণা চালানো যাবে না। ধর্মীয় উপসনালয়ে প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।

চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প হবে তিনটি, সদস্য পদের প্রার্থীরা একটির বেশি ক্যাম্প করতে পারবেন না। ক্যাম্পে টিভি, ভিসিআর, ভিসিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। বন্ধ রাখতে হবে দেয়াল লিখনও। তোরণ নির্মাণ, ঘের, প্যান্ডেল বা ক্যাম্প স্থাপন এবং আলোকসজ্জা করাও নিষেধ।

এসব নিষেধাজ্ঞার কোনোটি না মানলে ১০ হাজার টাকা জরিমানার করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়। এছাড়া নির্বাচনী অপরাধ প্রমাণ হলে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পরও প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রাখে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।