ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
এনআইডি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত

ঢাকা: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করার নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৯ মে) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ মন্তব্য করেন।

১৭ মে পিএমও কার্যালয়ের পরিচালক-১০ একেএম ফজলুর রহমানের পাঠানো ওই চিঠির অনুলিপি সুরক্ষা বিভাগের সচিব, ইসি সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে নির্বাচন কমিশন একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই সংস্থাটি নাগরিকদের একটি পরিচয়পত্রও দেয়। পরবর্তীসময়ে এনআইডি অনুবিভাগ তৈরি করে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্টকার্ড প্রকল্পও হাতে নেয়। এজন্য আইন ও বিধি প্রণয়ন করে বর্তমানে ভোটার তালিকার ভিত্তিতে দেশের সব নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ করে আসছে ইসি। সংস্থাটির তথ্য ভাণ্ডারে প্রায় ১১ কোটি ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে।

এই তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে কোভিড টিকা কার্যক্রম, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন অর্থ সহায়তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকিং সেবা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় সরকার থেকে আলোচনা হচ্ছে এনআইডি কার্যক্রম আর ইসির অধীনে না রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার।

ইসি সচিব বলেন, আমরা পিএমও কার্যালয়ের চিঠিটি পেয়েছি। এটা এখনো পর্যালোচনা করা হয়নি। পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের মতামত বা সিদ্ধান্ত জানাবো।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- (১) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের উদাহরণের আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগ ওই দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিবেচিত বিধায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত দায়িত্ব সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার লক্ষ্যে ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং ডিফারেন্ট মিনস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশন্স’-এ সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বগুলোর মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

(২) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ এ ‘নির্বাচন কমিশন’ এর পরিবর্তে সরকার শব্দ অন্তর্ভুক্তকরণসহ প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

(৩) সুরক্ষা সেবা বিভাগ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল নির্বাচন কমিশন থেকে সুরক্ষা বিভাগে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।