ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

‘ভোট না দেওয়াও অধিকার, ইচ্ছে না থাকলে ভোট দিতে আসবেন না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
‘ভোট না দেওয়াও অধিকার, ইচ্ছে না থাকলে ভোট দিতে আসবেন না’

ঢাকা: আসন্ন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে মাস্ক না পরলে কেউ ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। মেনে চলতে হবে অন্য স্বাস্থ্যবিধিও।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের একথা বলেন। আগামী ১৪ জুলাই এ দুই আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বন্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোট দেওয়াও যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়ার ইচ্ছাপোষণ করাও মানুষের অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। তাই বন্যার কারণে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে ভোটার নৌকায় করে আসবেন। আর ইচ্ছা না করলে বা সম্ভব না হলে ভোট দিতে আসবেন না।

তিনি বলেন, আসন দু’টিতে ১৫ জুলাই ও ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ভোট করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ভোট করা ছাড়া উপায় নেই। অন্যথায় সংবিধান লংঘনের দায়ে যে কেউ মামলা করতে পারবে। এ দায় কেউ নেবে না।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়ে মো. আলমগীর আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারের বেশি সময় নেই। এই সময়ের কেউ প্রচার চালালে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনসভা, পথসভা, মিছিল, দল বেঁধে প্রচারণা করা যাবে না।
 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাস্ক ছাড়া ভোটার কেন, কাউকেই ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শারীরিক দূরত্ব তত্ত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোট দেওয়ার আগে হাত ধুয়ে স্যানিটাইজ করে ভোট দেবেন। ভোটার দেওয়ার পর আবার স্যানিটাইজ করে হাত ধুয়ে নেবেন। ভোটকেন্দ্রে স্যানিটাইজরসহ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

 গত ২৯ মার্চ এই দুই আসনে ভোটগ্রহণ করার ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু করোনার কারণে ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণের কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে ভোটের অংশ নেওয়ার জন্য করোনার মহামারি কাটার পর ভোটগ্রহণের দাবিও তুলেছে দলটি।
 
বগুড়া-১ আসন
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর আসনটির উপ-নির্বাচনের বৈধ ছয় প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।
 
এ নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
 
গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
 
 যশোর-৬ আসন:
এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছিলেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।
 
এ আসনে ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
 
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক জয়ী হন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এর শূন্য আসনে নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
ইইউডি/এএ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।