ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি রক্ষাকবচ, সেবা প্রদানে গাফিলতি নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
এনআইডি রক্ষাকবচ, সেবা প্রদানে গাফিলতি নয়

ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিয়ে কোনো গাফিলতি করা যাবে না। এই সেবা চালু না থাকলে স্থবির হয়ে পড়তো ব্যাংকিং ব্যবস্থা। করোনায় সহায়তা দেওয়া সম্ভবত হতো না। তাই এটি অধিকার রক্ষার রক্ষাকবচ।

কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) নিয়ে বুধবার (২০ মে) কর্মকর্তাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনের সময় নির্বাচন কমিশনাররা এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিয়ে কোনো গাফিলতি করা যাবে না।

করোনাকালে এই সেবা চালু না থাকলে স্থবির হয়ে পড়তো ব্যাংকিং ব্যবস্থা। সারা বিশ্বে সব অফিস যখন বন্ধ, নির্বাচন কমিশন তখন এনআইডি সেবা দিচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু নিজেদের কাজ নয়, সরকারি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছে তারা।

জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, এনআইডি ছাড়া করোনাকালো পোশাকশ্রমিকরা বাইরে যেতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তা এনআইডি ছাড়া দেওয়া হচ্ছে। কাজেই এটা রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জীবন ও জীবিকার টানাপোড়েনের মধ্যে প্রয়োজন সীমাবদ্ধ হতে পারে না। তাই এনআইডি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অনলাইনে এনআইডি ডাউনলোড করে নেওয়ার সেবা চালুর দিনই ৬১ হাজার মানুষ আবেদন করেছে।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে এনআইডি সেবা একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সব সময়ই একটা সুযোগ সন্ধানী শ্রেণী থাকে। কাজেই এ সেবার কেউ যাতে অপব্যবহার করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ১২ বছর আগে নির্বাচন কমিশনই দেশে সবচেয়ে বড় আইটি প্রকল্প হিসেবে এনআইডি কার্যক্রম শুরু করে। ধীরে ধীরে আরও উন্নত হবে। অনলাইনে এনআইডি সেবা কার্যক্রম শুরু একটা বড় সাফল্য। নির্বাচন কমিশনের মতো ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দেওয়া দ্বিতীয় আর কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নেই। একইভাবে প্রবাসীদের ভোটার করা যায় কিনা এবং ভবিষ্যতে অনলাইনে ভোট দানের জন্য প্রবাসীদের সুযোগ করে দেওয়া যায় কিনা, সেটা নিয়ে আমাদের ব্রেন স্টর্মিং করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আগে যখন উপজেলা অফিসে আবেদন করে এনআইডি সেবা নিতে যেত, তখন হয়রানি করা হতো। এখন ঘরে বসেই সেবা পেলে সে সমস্যাটা আর থাকবে না।

ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, তিনটি কারণে আমরা অনলাইনে এনআইডি সেবা দিচ্ছি। সময় কমানো, ব্যয় কমানো এবং সেবাগ্রহীতার ভোগান্তি কমাতে এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।

অনলাইনে ভোটার করে নেওয়া, এনআইডি ডাউনলোড সুবিধা প্রদান, সংশোধন, স্থানান্তর সংক্রান্ত সেবা গত ২৬ এপ্রিল চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই সেবা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার সিএমএস পরিচালনা পদ্ধতি শেখাতেই দেওয়া হবে এখন প্রশিক্ষণ। তিন সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রমে মোট ২ হাজার ৩২০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনলাইন মিটিংয়ে উদ্বোধন করেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা। এতে এনআইডি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম, ইসির যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম, আবদুল বাতেনসহ ২৯৭ জন কর্মকর্তা সম্পৃক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ