ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকা-১০ আসন: যে ২১ স্থানের বাইরে পোস্টার নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
ঢাকা-১০ আসন: যে ২১ স্থানের বাইরে পোস্টার নয়

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রচারের জন্য পোস্টার সাঁটানোর ২১টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর বাইরে অন্য কোথাও পোস্টারে প্রচার না চালানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন প্রার্থীরা।

রোববার (০১ মার্চ) নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর এসব কথা বলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, পোস্টারের জন্য যে ২১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো হলো-হাজারীবাগ সেকশনের ময়না মার্কেট, হাজারীবাগ উচ্চ বিদ্যালয়, হাজারীবাগ পার্ক, ট্যানারি মোড়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি, গণকটুলী চৌরাস্তা মোড়ের বিডিআর গেট নম্বর-৫, রায়ের বাজারের জরিনা সিকদার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধানমন্ডি-১৫-এর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা সিটি কলেজ সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিটি কলেজের উত্তর পাশের রিফাতুল্লাহ মার্কেট।

এছাড়াও রয়েছে- ঢাকা কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ধানমন্ডির বিপরীত পাশের সায়েন্স ল্যাবরেটরির টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ধানমন্ডি রোড নম্বর-৮ এর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠ, কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠ, হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজার বিপরীত পাশের তিন নম্বর রাস্তার মোড়, রাসেল স্কয়ারের নিউ মডেল স্কুল, ধানমন্ডি-৩২ রাসেল স্কয়ার, শুক্রাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ড, শুক্রাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ রোডের গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল এবং নীলক্ষেত চৌরাস্তা মোড়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে আমরা ঐতিহাসিক একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছি। প্রার্থীরা ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে আমি তাতে সই করেছি। আশা রাখি, সবাই এই সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য নির্ধারিত ২১টি স্থানে পোস্টার লাগাবেন। নির্ধারিত স্থায়ী ক্যাম্পও থাকবে। তাতে সীমিত মাত্রায় শব্দযন্ত্র ব্যবহার করবেন। নির্ধারিত তিনটি স্থানে তারা জনসভা ও পথসভা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের অবহিত করে। ’

এই উপ-নির্বাচনের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল আলম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান (লাঙল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী (ডাব), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী (হারিকেন) এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের আব্দুর রহীম (বাঘ)।

তফসিল অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি। ১ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলো। আগামী ২১ মার্চ এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১০ আসন থেকে পদত্যাগ করে সিটি নির্বাচনে অংশ নিলে আসনটি শূন্য হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।