ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনের সব তথ্য প্রকাশ করুন: তাবিথ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনের সব তথ্য প্রকাশ করুন: তাবিথ

ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তথ্য ও ফলাফল জনগণের কাছে স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস ব্যাংকুয়েট হলে আয়োজিত  নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

তাবিথ বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি ডিএনিসসি নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে আমি অফিসিয়ালি আজকে সেটা প্রত্যাখ্যান করছি।

আমরা দাবি করছি, সব কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখে নির্বাচন কমিশন ওই নির্বাচনের সব তথ্য, ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট শিট থেকে শুরু করে রেজাল্ট শিট জনগণের সামনে এবং যারা প্রার্থী ছিলেন তাদের সামনে প্রকাশ করবে।  

‘নির্বাচনের দিনটি শুরুই হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পিত হামলার মধ্য দিয়ে। এতে গণমাধ্যমকর্মীরা আহত হয়েছেন এবং আমাদের পোলিং এজেন্টরাও আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ’ 

তিনি বলেন, আমাদের পোলিং এজেন্টরা যথাসময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে নিয়ে বাইরে পেটানো হয়েছে। এসব হামলার বিষয়ে আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে পুলিশকে জোরালো তাগিদ  দিচ্ছি। উনারা যেন সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেন।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার প্রসঙ্গে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাদের হুমকি শুরু হয়েছিল যে, তাদের গুণ্ডাবাহিনীর পেশীশক্তি ব্যবহার করে কেন্দ্র দখল করবে। নির্বাচনের দিন শুরুতে সমস্ত কেন্দ্রের বাইরে ক্ষমতাসীন দলের গুণ্ডা ও কর্মী অবস্থান নিয়ে গেট বন্ধ রাখে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যে কারণে বেশিরভাগ ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেনি।  

তিনি অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রে বানানো লাইন করা হয়েছিল যে কারণে ভোটারেরা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি। বানানো লাইন দিয়ে ভোটারদের দমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কারভাবে প্রমাণ হয়, আমাদের প্রতিপক্ষের কৌশলও ছিল ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না প্রবেশ করতে পারে। এ পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল।  

তাবিথ আউয়াল বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে পুলিশের ফেক (ভুয়া) কর্মকর্তা ছিল। আমি শুনতে চাই- পুলিশ কর্মকর্তাদের উচ্চমহল থেকে ফেক কর্মকর্তাদের কী আটক করা হবে? আমি দাবি জানাচ্ছি, তারা যেন এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেন।

তিনি বলেন, বলা হয়েছিল ইভিএমে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট দেওয়া হবে। তার মানে রাত ৯ টার মধ্যে সব কেন্দ্রের রেজাল্ট প্রকাশ করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ভোর চারটা পর্যন্ত। এরপরও আমরা শুধু মৌখিক রেজাল্ট পেয়েছি।  

‘লিখিত কোনো রেজাল্ট আমরা পাইনি। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের তাদের কাজের কোনো মিল নেই। আমরা মনে করি এখানে ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং ভোট চুরি করা হয়েছে, অনেক ভোট বদলানো হয়েছে। সে কারণে ভোর চারটা পর্যন্ত তাদের সময় লেগেছিল। ’

ইভিএম প্রসঙ্গে বিএনপি প্রার্থী বলেন, বলা হয়েছিল কন্ট্রোল ইউনিটের প্রিন্ট দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা এখনো তা পাইনি।  অপেক্ষায় আছি। আদৌ পাবো কিনা এ নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।  

তিনি বলেন, ইভিএমে সমস্ত লগ রাখা যায় আমরা শুনেছি। যদি সমস্ত লগ রাখা হয়ে থাকে আমরা দাবি জানাচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকে সবার সামনে এই লগ পেশ করা হোক। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো কন্ট্রোল ইউনিটে কী লেখা ছিল, রেজাল্ট কী এসেছে, ফাইনালি মৌখিক রেজাল্টে আমরা কী পেয়েছি।

তাবিথ বলেন, ২৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছে বিকেল ছয়টার মধ্যে সমস্ত রেজাল্ট যেন প্রার্থীদের কাছে রিটার্নিং কর্মকর্তা পেশ করে দেন।

কিন্তু তারা সেই গাইডলাইন ফলো করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
এসএমএকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।