ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

‘নির্দেশ মানতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে’

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
‘নির্দেশ মানতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে’

ঢাকা: হাই কমান্ডের নির্দেশ ছিল, কোনো ধরনের মারামারি করা যাবে না। কাউকে হুমকি-ধামকি দেওয়া যাবে না। ভোটারদের ভালোবাসা দিয়ে ভোট সংগ্রহ করতে হবে। ওই নির্দেশ মানতে গিয়েই আজকে বিএনপির ইশরাকের লোকজন আমাদের রড দিয়ে পিটিয়েছে। কোনো প্রতিবাদ করিনি।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক আওয়ামী লীগ কর্মী এসব কথা বলেন।

জানা গেছে, ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ১০ থেকে ১২ জন নেতা-কর্মী ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখা যায়, গোপীবাগের ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আমির হোসেন (৫৬) নামে এক ব্যক্তি ট্রলির ওপরে ব্যথায় ছটফট করছিলেন। আর চিৎকার করে ওপরের কথাগুলো বলছিলেন।  

আহত আমির জানান, তিনি ৩৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক।  

এছাড়া এই ঘটনায় আহত ইয়াসির আরাফাত রকি ৩৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ কর্মী। তাকেও মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

এদিকে আহতদের দেখতে যুবলীগের দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তিনি জানান, গোপীবাগের ঘটনায়  আমাদের ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই ঘটনায় আরও আহত আছে। সঠিক হিসাবটা এখনও বলা যাচ্ছে না।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দিন জানান, ১০ থেকে ১২ জনকে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। তাদের মধ্যে কেউ গুরুতর নয়। এখনো কাউকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিয়েছি। রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি কাউকে ভর্তির প্রয়োজন হয় ভর্তি নেওয়া হবে।

সংঘর্ষের সময় গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওয়ারি ডিভিশনের ডিসি ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘গুলির ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ৭টি খোসা উদ্ধার করেছি।

রোববার দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে দক্ষিণের বিএনপি মনোননীত মেয়র প্রার্থী ইশরাকের নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কোন পক্ষ কোন পক্ষের ওপর হামলা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক দাবি করেছেন, ক্ষমতাসীনরাই তার প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে। তিনি গুলির শব্দও শুনেছেন বলে জানান।  

তিনি বিষয়টি নিয়ে মামলা করবেন বলেও জানান।  

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ফজলে তাপস হামলার জন্য ইশরাককেই দায়ী করেছেন।  

তবে ইসি সচিব পুলিশের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনাস্থলে মারামারি বা সংঘর্ষের মতো কিছু ঘটেনি। একটা ধাক্কাধাক্কি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ জানলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এজে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।