ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সিটি নির্বাচনে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
সিটি নির্বাচনে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে সংবাদ সম্মেলনে সুজন-এর সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়লেও আগের চেয়ে কমেছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রাক নির্বাচনী প্রার্থী বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি)  জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সুজন পক্ষ থেকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সুজনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী মোট ছয় জন। এদের মধ্যে পাঁচজনই উচ্চশিক্ষিত। পাঁচ জনের মধ্যে দু’জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, তিনজন স্নাতক ডিগ্রিধারী। অপর মেয়র প্রার্থী প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের শাহিন খানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।

এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী মোট সাতজনের মধ্যে তিনজন উচ্চশিক্ষিত। এ তিনজনের মধ্যে দুই স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ও একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী। বাকি চার জনের মধ্যে তিনজনের প্রতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। এদের মধ্যে মেয়র প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের দলের আকতারুজ্জান ওরফে আয়াতুল্লাহর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস।  

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডের ২৪৮ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থীর (১৫৬ জন বা ৬২ দশমিক ৯০ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। শুধুমাত্র এসএসসির নিচেই ১২৩ জন (৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ)।

ঢাকা উত্তরের সর্বমোট ৩৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশের (২০৩ জন বা ৬১ দশমিক ৩২ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। শুধুমাত্র এসএসসির নিচে ১৫৬ জন (৪৭ দশমিক ১৩ শতাংশ)।

ঢাকা উত্তরে ২০১৫ সালের নির্বাচনের তুলনায় একদিকে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার বেড়েছে (৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ এর স্থলে ৬১ দশমিক ৩২ শতাংশ), অপরদিকে উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীর হার কমেছে (২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ এর স্থলে ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ)।  

ঢাকা দক্ষিণের সর্বমোট ৪০৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশের (২৬৬ জন বা ৬৫ দশমিক ০৩ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিতের হার সমান (৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ) হলেও, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে স্বল্পশিক্ষিতের হার অনেক বেশি। ২০১৫ সালের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, স্বল্পশিক্ষিতের হার সমান রয়েছে (৬৬ দশমিক ৭৪)। উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীর ক্ষেত্রে সামান্য কিছু অবনতি হয়েছে (১৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ এর হলে বর্তমানে ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ)।

ঢাকা উত্তরের ১৮টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭৭ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর রয়েছেন ২২ জন। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণে ২৫টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮২ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে ৫৮ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। ৮২ জনের মধ্যে ১৬ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।

এদিকে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে পেশায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা। ডিএনসিসির মোট ৩৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৪১ জন পেশায় ব্যবসায়ী। ডিএসসিসির মোট ৪০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০১ ব্যবসায়ী। দুই সিটি করপোরেশনে মোট ৭৩০ জনের মধ্যে ৫৪২ জন ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী এবং সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
পিএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।