ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

আতিকের মেয়াদের কাজের প্রচার, ব্যবস্থার তাগিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
আতিকের মেয়াদের কাজের প্রচার, ব্যবস্থার তাগিদ

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন সামনে রেখে সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর প্রচার করায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাগিদ দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাকে সোমবার (২০ জানুয়ারি) আনঅফিসিয়াল নোট (ইউও) দিয়ে এ তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ কোনো কর্তৃপক্ষ নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী কারো পক্ষে প্রচার চালাতে পারে না।

ডিএনসিসি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম সর্বশেষ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর তার মেয়াদ থাকার সময়ে নেওয়া মশক নিধন কার্যক্রম নিয়ে পত্রিকায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও মাহবুব তালুকদার নির্বাহী হাকিম দৃশ্যমান করাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন তার নোটে।

ইউও নোটে তিনি বলেছেন, ‘ইতোপূর্বে ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রদত্ত আমার ইউও নোটে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বন্ধ করার জন্য একটি পরিপত্র জারির অনুরোধ জানিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, নির্বাচনে সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আরেকজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা শহরে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসব কার্যক্রম সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ পরিপত্রটি জারির আবশ্যকতা রয়েছে বলে মনে করি। ’

‘আজ ২০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে, যার শিরোনাম ‘ফিরে দেখা ২০১৯: মশক নিয়ন্ত্রণ’। এই বিজ্ঞাপনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিগত বছরে মশক নিয়ন্ত্রণের নানাপ্রকার ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়রের পক্ষে তার সাফল্যের প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই প্রচারণার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। ’

‘প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। হলফনামা যাচাইয়ের কোনো উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে হলফনামা প্রদানের বিধান প্রশ্নের সম্মুখীন, যাতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। ’

‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না। কমিশন আইনানুগভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হবে এবং কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা জনসমক্ষে প্রতিভাত হবে। ’

‘উল্লিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। ’

প্রসঙ্গত আগামী ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।