ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

মডেল ওয়ার্ড গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন নাসির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
মডেল ওয়ার্ড গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন নাসির নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নাসির। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নির্বাচিত হতে পারলে মডেল ওয়ার্ড গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নাসির।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএনসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়াতাধীন মহাখালীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

গত নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ঘুড়ি প্রতীকে বিজয়ী হয়েছিলেন।

এবারও তার প্রতীক ঘুড়ি। কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় সাড়ে চার বছর। এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এবং অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে তিনি আবারও তাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের আহবান জানান।

কাউন্সিলর প্রার্থী নাসির বলেন, কাউন্সিলর হিসেবে গত সাড়ে চার বছরে এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি। এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ও কালভার্ট উন্নয়ন করেছি। এছাড়াও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের বাহিরেও নিজ উদ্যোগে প্রায়  ডেঙ্গু নিধনে ওষুধ ছিটিয়েছি। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে ড্রেন, কালভার্ট পরিষ্কার করেছি।

তিনি বলেন, এখনও কিছু কাজ অসমাপ্ত আছে। ব্র্যাকের পেছনের রাস্তার উন্নয়নের কাজ গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) উদ্বোধন করেছি। খুব শিগগিরই এ রাস্তার কাজ সমাপ্ত হবে। আমতলী থেকে গুলশান পর্যন্ত ড্রেনের কাজ টেন্ডারের কাছাকাছি। এ দু’টি কাজ সমাপ্ত হলে আশা করি আমার ২০ নম্বর ওয়ার্ডটিকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে ঘোষণা দিতে পারবো।  
নিজ অপারগতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমার একান্ত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমি একটি খেলার মাঠ, কবরস্থান ও বিনোদন কেন্দ্র করতে পারিনি। সরকারি জায়গায় কিছু করতে হলে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয়। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও আমি এসব কাজে কিছু জটিলতার ফলে সম্ভব করতে পারিনি। ইতোমধ্যেই আমি যেহেতু আমার ওয়ার্ডের বেশিরভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি, তাই পুনরায় নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারবো।

জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি এলাকার মাদক, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এসব কাজে ওয়ার্ডের জনগণের সবসময় সমর্থন পেয়েছি। বিগত সময়ে আমার ওয়ার্ডের জনগণকে কি দিতে পেরেছি, কি দিতে পারিনি, তা আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিনে এলাকার মানুষ মূল্যায়ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
আরকেআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।