ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ভোটার তালিকা: এবার কোটি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
ভোটার তালিকা: এবার কোটি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি

ঢাকা: চার বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়ায় চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক কোটি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৩ এপ্রিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করা হয়। এক্ষেত্রে চার বছরের তথ্য একসঙ্গেই নেওয়া হয়।

এদের মধ্যে যে যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন স্বয়ংক্রিভাবে ভোটার হিসাবে গণ্য হবেন। তবে এবার হালানাগাদের পর চূড়ান্ত তালিকা ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে মার্চে প্রকাশ করার কথা ভাবছে ইসি।

জানাগেছে, ৯৯ লাখ ৬০ হাজারের মতো নাগরিক নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। এবার তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ লাখ। এক্ষেত্রে ২০ শতাংশের মতো বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সারাদেশে প্রকাশ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু এবার আইনি জটিলতার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে গিয়ে ঠেকতে পারে।

কর্মকর্তারা বলছেন, হালনাগাদ নিয়ে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এবার সময় বেশি লাগবে। আর এজন্য ভোটার তালিকা আইন সংশোধনও করছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে আইনের সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।

ইসি সচিব মো. আলমগীর এ বিষয়ে জানান, এবার কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। কিছু একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। কয়েকবার তালিকা হালনাগাদের পর বর্তমানে দেশে ভোটার হয়েছেন ১০ কোটি ৪২ লাখ। এদের সঙ্গে ইসির তথ্য ভাণ্ডারে আরও যুক্ত হচ্ছে এক কোটি নাগরিক।  

ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ৫০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। এতে অপরাধী চিহ্নিত করণসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এছাড়াও সহজেই মিলছে নাগরিক সেবা।

এবারের হালনাগাদের ব্যয় ধরা হয়েছিল সাড়ে ৮২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।