ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

কেবল রোহিঙ্গা নয়, সব বিদেশির বিষয়ে সতর্ক ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
কেবল রোহিঙ্গা নয়, সব বিদেশির বিষয়ে সতর্ক ইসি

ঢাকা: মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা নাগরিকরাই কেবল নয়, সব বিদেশিদের নিয়েই সতর্ক নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অপচেষ্টা করে আর পার পাবে না কেউ।

সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি ভারতের এনআরসি জটিলতায় দেশটির অনেক নাগরিক বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে অনুপ্রবেশ করছে। এসব নিয়ে সজাগ রয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ভারতের নাগরিকরা অতীতেও এদেশের ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়ার অপচেষ্টা করেছে।

এছাড়া কেবল ভারত নয়, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ আফ্রিকান অনেক দেশের নাগরিকরাও বিভিন্ন সময় এ চেষ্টা করেছে।

***ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে ১০ ভারতীয়

বর্তমানে দেশে বিভিন্ন সংস্থা, কোম্পানিতে চাকরিরত রয়েছেন কয়েক লাখ বিদেশি। এছাড়া রয়েছেন অনেক ব্যবসায়ীও। এদের নিয়েও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শুধু রোহিঙ্গা নয়, ভারতসহ যে কোনো দেশের নাগরিকরা যাতে ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। কেউ চেষ্টা করলেই ধরা পড়ে যাবে।

***ইন্দোনেশিয়ার নারীর ‘বাটপারি’!

ভিনদেশিদের ঠেকাতে সীমান্তবর্তী ও পাহাড়ি এলাকার ৬৪ উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া উপকূলীয় ১৪ উপজেলায় রয়েছে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। যাতে ভিনদেশি কোনো নাগরিক বিশেষ করে রোহিঙ্গা ও ভারতীয়রা যেন ভোটার হতে না পারেন। এসব এলাকায় বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দ সংস্থাগুলোও অব্যাহত রাখছে কঠোর নজরদারি।

বিদেশিদের ভোটার হতে সহায়তাকারীদের মধ্যে ইসির কর্মচারীদের সম্পৃক্ততাও রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বর্তমানে ভোটার করার কাজে নিয়োজিত সব কর্মকর্তাই নজরদারির মধ্যেই রয়েছেন। তাই যে কর্মচারী ফাঁদে দেবেন, তিনিও ধরা খাবেন।

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, সবাইকেই আমরা নজরদারির ভেতর নিয়ে আসছি। মাঠ কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক সিসিটিভি রাখা আছে। এছাড়া সবার পাসওয়ার্ড রয়েছে। তাই কে অপকর্ম করলো, তা সহজেই ধরা যাবে।

ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে। চলমান হালনাগাদ শেষ দেশের ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।