ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ভোট উৎসবের অপেক্ষায় সিলেটের গ্রামীণ জনপদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
ভোট উৎসবের অপেক্ষায় সিলেটের গ্রামীণ জনপদ নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: দুয়ারে কড়া নাড়ছে দ্বিতীয় পর্বের উপজেলা নির্বাচন। ৫ম ধাপের নির্বাচনের এ পর্বে সিলেটের ১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ সোমবার (১৮ মার্চ)। শনিবার (১৬ মার্চ) শেষদিনের প্রচারণায় মুখর ছিল গ্রামীণ জনপদ। এবার ভোট উৎসবে মাতোয়ারা হবে। চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে প্রার্থীরা শেষ দিনে নিরবচ্ছিন্ন প্রচারণা চালিয়ে গেছেন গ্রাম-গঞ্জে। এবার তীরে তরী ভেড়াতে হিসাব-নিকাশ কষছেন প্রার্থীরা।

শেষ দিনে কেন্দ্রীয় ও জেলা-মহানগরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে প্রচারণায় মাঠ কাঁপিয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। তাদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে নির্বিঘ্ন প্রচারণা চালিয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও।

‘দলছুট’ বিএনপি ঘরানার চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও সাধারণ সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে।
 
ভোটারদের মন জয় করতে উন্নয়নের আশ্বাসে জনগণের বিশ্বাস স্থাপনের শেষ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তারা। এবার দেখার পালা মন ভোলানো আশার বাণীতে কোন প্রার্থীর পক্ষে রায় দেন জনতা। নিজেদের পরবর্তী জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভোটাররা কাকে বেছে নেন।
 
সরেজমিনে বিভিন্ন উপজেলায় দেখা গেছে, শনিবার রাত পর্যন্ত শেষ প্রচারণায় মুখর ছিল গ্রামীণ জনপদ। সিলেট সদর উপজেলায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে শেষ নির্বাচনী জনসভা করেছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। তিনি বলেন, গত ১০ বছরের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবারও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করবেন, আশাবাদী তিনি।
 
এ উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিরাজী সাধারণ সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বিশাল নির্বাচনী জনসমাবেশ করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম ডালিমও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। যদিও এরইমধ্যে বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে।
 
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংবাদিক শাহ মুজিবুর রহমান জকনের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ জেলার নেতাকর্মীরা। শাহ মুজিবুর রহমান জকন বলেন, আমি উপজেলার আনাচে-কানাচে সব মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি সাধারণ জনগণ উন্নয়নের প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করে এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত করবেন।
 
সিলেটের ১২ উপজেলার মধ্যে সাতটিতে আওয়ামী লীগের ১৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এলাকার লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দু’একটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আভাস মিললেও দলের বিদ্রোহীদের কারণে ধরাশায়ী হতে পারেন নৌকা প্রতীকের অনেক প্রার্থী।

একইভাবে দক্ষিণ সুরমা, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় শনিবার সারাদিন বিরামহীন প্রচারণা, পথসভা, গণসংযোগে তুমুল ব্যস্ত ছিলেন প্রার্থীরা।
 
সিলেটের ১২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৭৬ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে সাতটিতে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ১৬ জন। পাঁচটিতে রয়েছেন নৌকার একক প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টির চারজন, বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছয়জন এবং ইসলামী ঐক্যজোটসহ (ওআইজে) ও অন্য স্বতন্ত্র ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
 
জেলার ১২ উপজেলায় চার পৌরসভা ও ৯৭টি ইউনিয়ন মিলে মোট ভোটার রয়েছেন ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৭১০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ লাখ আট হাজার ৯০ জন এবং মহিলা আট লাখ ৮৫ হাজার ৭১০ জন।

এসব উপজেলায় ৮১৬টি কেন্দ্রের চার হাজার ৪১৪ টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ১৪ হাজার ৫৮ জন কর্মকর্তা। এরমধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার ৮১৬, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চার হাজার ৪১৪ এবং আট হাজার ৮২৮ জন পুলিং অফিসার।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এনইউ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।